চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল-সহ বিজেপি বিরোধী ২৬ টি দল মিলে তৈরি হয়েছে ‘ইন্ডিয়া'(ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স)। মোদী সরকারকে উৎখাত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত সোনিয়া গান্ধী, নীতীশ কুমার, অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা। এবার উঠে গেল তৃণমূল নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবিও। ইতিমধ্যেই গোটা দক্ষিণ কলকাতা ছয়লাপ “বলছে বাংলার জনতা/প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা” লেখা ব্যানারে। নেপথ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল সমর্থকদের সবথেকে বড় গ্রুপ ‘ফ্যাম’। শুধু তাই নয়। আগামিকাল, রবিবার একটি বিশেষ কনক্লেভের আয়োজনও করা হয়েছে তাদের তরফে। যার মূল উদ্যোক্তা সংগঠনের সভাপতি তাপস সাঁধুখা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সৌরভ দাস।
রাজ্যের ৪২ লোকসভা কেন্দ্রেই কীভাবে বিজেপিকে উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল নেত্রীর উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরা হবে, তার রণকৌশলই এই কনক্লেভে চূড়ান্ত হবে। বিশেষ করে বিজেপির কুৎসা এবং ফেক নিউজ দিয়ে যেভাবে গেরুয়া শিবির মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তার বিরুদ্ধে তৃণমূল সমর্থকরা কীভাবে নিজেদের ফেসবুক-এক্স অ্যাকাউন্টে পাল্টা প্রচার করবেন তারও গাইডলাইন এখানে তৈরি করা হবে। উল্লেখ্য, ফেসবুক এবং এক্স মিলিয়ে এই মুহূর্তে ফ্যাম-এর সমর্থক সংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ। আগামিকাল রাজ্যের ২৩ জেলা থেকে তাঁদের বড় অংশই হাজির হবেন দক্ষিণ কলকাতার উত্তম মঞ্চে। উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বহু নেতা-মন্ত্রীও।
প্রসঙ্গত, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছে মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। দিন যত এগোচ্ছে, জোটের ভিত ততই পোক্ত হচ্ছে। এই আবহেই তৃণমূল নেত্রীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী চেয়ে আওয়াজ তুলেছে ‘ফ্যাম’। তাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও গদির জন্য লড়াই করেন না। তিনি দেশবাসীর স্বার্থের কথা চিন্তা করেই লড়াই করেন। আর তার সেই লড়াই এর পাশে থেকে রাজ্যবাসী চাইছেন, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসুন বাংলার অগ্নিকন্যা। রাজ্যের মানুষের এই ইচ্ছাকেই আমরা স্লোগানে পরিণত করেছি— “বলছে বাংলার জনতা/প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা”। তারা এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আগামিকালের কনক্লেভ শুধুমাত্র প্রথম ঝলক। লোকসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত চলবে তাদের ডিজিটাল প্রচার।