বদলে যাচ্ছে বিতর্কিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারা। পরিবর্তে বেশকিছু সংযোজন করা হবে ১৫০ ধারায়। এর আওতায় দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা তথা একতাকে বিপন্ন করে তোলার অপরাধে মামলা রুজু করা যাবে। শুক্রবার এই মর্মে লোকসভায় একটি বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, নতুন বিলে ১২৪(ক) ধারার পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহৃত হবে সংযোজন ,সহকারে ১৫০ ধারা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কেউ কথা, লেখা, বা আচরণের মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ালে, আইন অমান্য করলে বা হিংসায় উস্কানি দিলে বা করার চেষ্টা করলে, যা রাষ্ট্র বা আইন মেনে প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে। কেউ বিচ্ছিন্নতাবাদ, সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা তথা একতাকে বিপন্ন করে তুললে যাবজ্জীবন জেল এবং জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে’।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই বিল হচ্ছে ‘গোয়ান্তানামো বে’ তৈরির প্রথম ধাপ। তর্কের খাতিরে ঔপনিবেশিক ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’ আইন সরলেও তার জায়গায় যে ধারা আসছে তার প্রয়োগ অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে। কোনও বিচার বা নাগরিক অধিকার ছাড়াই অভিযুক্তকে গারদে পোড়া যেতে পারে। জঙ্গি বা জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে যে কোনও অভিযুক্তেরই ন্যূনতম সাংবিধানিক অধিকারটুকু কেড়ে নিতে পারবে তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসদমনের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমার্থক কিউবায় আমেরিকার গোয়ান্তানামো বে কারাগার। জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সেখানে নির্বিচারে সিআইএ-র থার্ড ডিগ্রির মুখে পড়েছে বহু নিরীহ মানুষ বলে অভিযোগ। এনিয়ে মার্কিন মুলুকেও কম জল ঘোলা হয়নি।