মাত্র কয়েক দিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিতাভ দত্তকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বলেন, ‘এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। উনিই তো নিয়োগ করেছিলেন। তাছাড়া উপাচার্য হিসাবে উনি কোন সুযোগ সুবিধা নিচ্ছিলেন না’।
এরই মধ্যে বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপ কুণ্ডু নামে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। এবার সেই ঘটনায় রাজ্যপালকেই নিশানা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ট্যুইটে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ব্রাত্য।
ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘বিজেপি চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিটি বিষয়েই রাজ্য সরকারের ভুল খুঁজতে। যেমন এই যে আমি এই ট্যুইট করছি এখন যদি কোনও গাছ থেকে পাতা পড়ে, এটাও তাদের কাছে রাজ্য সরকারের খামতিই মনে হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আমাদের দায়ী করার ব্যস্ততায় ভুলে গিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখন সরাসরি রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই এই নিন্দনীয় ঘটনা না আটকাতে পারা তাঁর ব্যর্থতা এবং ব্যর্থতা তাঁর রাজনৈতিক গুরুদেরও।
এদিকে, যাদবপুরের ঘটনায় খুনের মামলা করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। খুন ও একত্র হয়ে অনেকে এর জন্য দায়ী। এই জন্য হোস্টেলের অনেকে দায়ী বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩০২, ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।