সংসদে মণিপুর ইস্যু নিয়ে তিনি মুখ খুলবেন কিনা সেদিকেই নজর ছিল সকলের। অবশেষে গতকাল বিকেল পাঁচটা বাজতে না বাজতেই বলতে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তাঁর প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের দীর্ঘ ভাষণের একেবারে শেষে এল মণিপুর প্রসঙ্গ। বললেন, হাতে গোনা কয়েক মিনিট মাত্র। এবং তাতে মণিপুরের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সরকারের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে দোষ চাপালেন কংগ্রেসের ওপর, জহরলাল নেহেরুর ওপর!
প্রসঙ্গত, কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে মণিপুরে কিছুতেই নিভছে না হিংসার আগুন। এই ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত দেড়শো জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। গণধর্ষণ, নগ্ন করে ঘোরানো, জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মত ঘটনাও ঘটেছে। গত ২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথমদিন থেকেই মণিপুরের এ হেন পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে সরব বিরোধীরা। প্রায় প্রতিদিনই বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের বিক্ষোভে সংসদের দুই কক্ষ একাধিকবার মুলতুবি হয়ে যায়।
ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা মণিপুর ইস্যুতে অনাস্থা প্রস্তাবও আনেন। সেই প্রস্তাব গৃহিত হয়। সেই মতো স্থির হয় আগামী ৮ থেকে ১০ অগস্ট পর্যন্ত অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে সংসদে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১০ তারিখ এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সংসদে বক্তব্য রাখবেন। সেই মত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা ৭ মিনিটে ভাষণ শুরু করেন মোদী। সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে ভাষণ শেষ করেন তিনি। ২ ঘন্টার দীর্ঘ ভাষণে তিনি যেমন বিরোধীদের আক্রমণ করলেন। তেমনি তাঁর আমলে দেশের কতটা ‘বিকাশ’ হয়েছে তারও খতিয়ান দিলেন। কিন্তু মণিপুর নিয়ে ‘থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়’ মার্কা জবাব দিলেন তিনি!