এবার রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুলগুলোর গ্রেডিং এবং র্যাঙ্কিং ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে নয়া শিক্ষানীতি প্রবর্তনের জন্য সরকার একটি এম্পাওয়ার্ড কমিটি তৈরি করেছিল। সেই কমিটি সুপারিশ করেছে যে, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা পর্ষদের অধীনে স্কুলগুলির গ্রেডিং ও র্যাঙ্কিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। আগে উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলির র্যাঙ্কিং করা হোক। তার পর পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্ছ প্রাথমিক পর্যন্ত স্কুলগুলির গ্রেডিং ও র্যাঙ্কিং নির্ধারণ করা যেতে পারে।
এম্পাওয়ার্ড কমিটির এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে শিক্ষা দফতর। নবান্নর বক্তব্য, ‘কমিটির সুপারিশের সঙ্গে সরকার একমত। এতে রাজ্যে স্কুলগুলির মধ্যে একটা সুষ্ঠু প্রতিযোগীতার পরিবেশ গড়ে উঠতে পারে।’ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ‘সরকার নীতিগতভাবে কমিটির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। স্কুলগুলির গ্রেডিং ও র্যাঙ্কিং কীভাবে করা হবে সে ব্যাপারে একটি বিস্তারিত গাইডলাইন তৈরি করা হবে।’
রাজ্য সরকারের যেহেতু অবস্থান হল, সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলির মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ গড়ে তোলা। তাই কোন স্কুলের র্যাঙ্কিং কত তা সকলেই জানতে পারবেন। সরকারের মতে, এতে শিক্ষকদের ওপরেও স্কুলে পঠনপাঠনে জোর দেওয়ার ব্যাপারে চাপ বাড়বে। তা ছাড়া পরিচালন কমিটিগুলি তৎপর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অভিভাবকদের চাপ থাকবে স্কুলের ওপর।
সূত্রের খবর, এই গ্রেডিং ও র্যাঙ্কিংয়ের সঙ্গে শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়টিও সরকার জুড়ে দিতে পারে। এ ব্যাপারেও কমিটির সুপারিশ মেনে নিয়েছে সরকার। কমিটি জানিয়েছে, শিক্ষকদের পদোন্নতি কীভাবে হবে তার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি থাকা জরুরি। আর সেই স্বচ্ছ ব্যবস্থার প্রণয়নের জন্য অ্যাকাডেমিক পারফরমেন্স ইন্ডিকেটর তথা এপিআই ব্যবহার করা যেতে পারে।