বিরোধী প্রার্থীরা ভোটে জিতলেও তাঁরা তৃণমূলে চলে আসবেন৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফল বেরানোর পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, তাঁর কথাই ঠিক। এবার যেমন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে তৃণমূলে যোগ দিলেন বাঁকুড়ার জয়ী বিজেপি প্রার্থী। বুধবার বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের দহলা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন সাতসকালে পদ্ম ছেড়ে জোড়াফুলের হাত ধরলেন তিনি। শুধু তাই নয়। বিকেলে বাড়ি ফিরলেন প্রধান হয়ে।
প্রসঙ্গত, খাতড়ার দহলা পঞ্চায়েতে মোট ১৮টি আসন। তার মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ছ’টি আসনে। বিজেপি জিতেছে পাঁচটি আসনে। সিপিএমের প্রার্থীরাও পাঁচটি আসনে জিতেছিলেন। এছাড়া কুর্মী সমর্থিত দুজন নির্দল প্রার্থীও জয়ী হন। বোর্ড গঠনের জন্য কোনও রাজনৈতিক দলেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। গত কয়েকদিন ধরে তাই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। বুধবার বিজেপির টিকিটে জেতা দুই সদস্য হঠাৎই খাতড়ায় রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর তাঁরা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে অংশ নিতে যান।
প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরের তরফে পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান পদের জন্য পৃথক নাম প্রস্তাব করা হয়। তৃণমূলের তরফে প্রধান হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হয় দলবদলু অসিতকুমার মাহাতর। উপপ্রধান হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হয় বিজেপি থেকে সদ্য তৃণমূলে আসা নিবেদিতা মণ্ডলের। ফলে সকালে যাঁরা বিজেপি ছিলেন, বিকেলে তাঁরাই তৃণমূল হয়ে ঘরে ফেরেন। এ প্রসঙ্গে নব নির্বাচিত প্রধান অসিতকুমার মাহাত বলেন, ‘দীর্ঘদিন বিজেপি করে যোগ্য সম্মান পাইনি। তাই উন্নয়নের লক্ষ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’