সংসদে ফিরেই অনাস্থা প্রস্তাবে ঝড় তুলেছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তাঁর বক্তৃতার সময় তাঁকে সংসদ টিভির পর্দায় না দেখানোয় এবার ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘সেন্সরশিপের’ অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় সরকারকে স্বৈরাচারী আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাহুলকে ভয় গিয়েছেন বলে দাবি করল শতাব্দী প্রাচীন এই দল।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুর ১২ টা বেজে ৯ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন রাহুল গান্ধী। থামেন ১২ টা ৪৬ নাগাদ। মোট প্রায় ৩৭ মিনিট ভাষণ দেওয়ার সময় টিভির পর্দায় মাত্র ১৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড দেখানো হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। আবার তাঁর মোট ভাষণের মধ্যে ১৫ মিনিট ৪২ সেকেন্ড উল্লেখ করেছিলেন মণিপুরের নানা ঘটনা। তার মধ্যে মাত্র ৪ মিনিট সম্প্রচার করা হয়েছে কংগ্রেস সাংসদের ভিজুয়াল। বাকি সময় ক্যামেরা তাক করা ছিল মূলত অধ্যক্ষ ওম বিড়লার দিকেই। কিছু কিছু সময় ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে।
এর পরেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে স্বৈরতন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে হাত শিবির। তাদের বক্তব্য, স্বৈরাচারীরা আদতে ভীরু হয়। বিজেপিও রাহুল গান্ধীকে ভয় পায়। তাই তাঁর বক্তব্যের সময়ও টিভির পর্দায় দেখানো হচ্ছিল অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ তথা মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, ‘অন্যায় বহিস্কার থেকে মুক্তি পেয়ে রাহুল গান্ধীর প্রত্যাবর্তনে কেন্দ্র কতখানি ভীত সন্ত্রস্ত, তা প্রমাণ হয়ে গেল। মোট ভাষণের ৪০ শতাংশেরও কম স্ক্রিন টাইম দেওয়া হল ওঁকে। প্রধানমন্ত্রী মোদী কেন যে এত ভয় পান কে জানে?’
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও সংসদের অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদের কম সময় সম্প্রচার করা বা বেশিরভাগ সময়ই সম্প্রচার না করা, এমনকী অধিবেশন চলাকালীন লাগাতার সরকারি বিজ্ঞাপন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। মোদী জমানায় রাজ্যসভা ও লোকসভায় বিরোধী দলের সাংসদদের প্রতিবাদের ছবি না দেখানো মত গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। আর এবার তো কংগ্রেসের তরফে যথারীতি অঙ্ক কষে বলা হল, মোট কত সময়ের মধ্যে কত সময় দেখানো হচ্ছে তাদের।