‘ভুয়ো’ তথ্যের ভিত্তিতে তফসিলি বা এসসি সার্টিফিকেট! কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। নির্বাচনে জয়লাভের পর প্রশাসনিক তদন্তে ফাঁস হয়ে গেল রহস্য। পঞ্চায়েত সমিতিতে পদ্ম প্রতীকে জয়ী বিজেপি প্রার্থীর সেই জাতিগত শংসাপত্র বাতিল করলেন মালদহের সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং। জয়েন্ট বিডিও’র সরেজমিন তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে সেই শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন সদর মহকুমা শাসক।
জানা গিয়েছে, এক প্রতিবেশীকে ‘ধর্ম বাবা’ সাজিয়ে সদর মহকুমা শাসকের দফতর থেকে তফসিলি জাতি শংসাপত্র পেয়ে গিয়েছিলেন হবিবপুরের সিঙ্গাবাদ এলাকার তিলাসন গ্রামের বাসিন্দা বিজেপি নেত্রী সুলেখা সিংহ। তিনি এবার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির ধুমপুরের এসসি সংরক্ষিত আসনে পদ্মপ্রতীকে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন। তাঁর বাবার বাড়ি উড়িষ্যায়।
পরাজিত প্রার্থী তৃণমূলের পূর্ণিমা চৌধুরি তাঁর বিরুদ্ধে ‘জাল’ শংসাপত্র পেশ করে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ তোলেন। বিডিও’র কাছে লিখিত নালিশ করেন পূর্ণিমাদেবী। প্রশাসনিক তদন্তের ভিত্তিতে এদিন সেই শংসাপত্র বাতিল করেন এসডিও। ফলে মালদহের হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে মাত্র একটি আসনের ব্যবধানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু সার্টিফিকেট বাতিলের জেরে সুলেখা সিংহের সদস্যপদ বহাল থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী পূর্ণিমাদেবীর আইনজীবী উদয় ঝা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ভুয়া তথ্য দিয়ে সুলেখাদেবী জাতিগত শংসাপত্র পেয়েছিলেন। তিনি ওড়িশার বাসিন্দা হলেও এখানে একজনকে বাবা সাজিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তদন্তের ভিত্তিতে সেই সার্টিফিকেট এসডিও বাতিল করেছেন। যেহেতু সংরক্ষিত আসন থেকে তিনি জিতেছেন, ফলে সুলেখাদেবীর সদস্যপদ আর থাকছে না। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে তিনি ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন না’।