গত মঙ্গলবার থেকে সংসদে শুরু হয়েছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর বিতর্ক। মঙ্গলবার ও বুধবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের পর থেকে সন্ধে পর্যন্ত এক টানা অনাস্থা বিতর্ক চলেছে। যেখানে রাহুল গান্ধী মণিপুর প্রশ্নে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী আর যাই হোন দেশভক্ত নন। মণিপুরে ভারত মাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু লোকসভায় এই যে এত তর্ক-বিতর্ক হল, মোদী তখন কোথায় ছিলেন? টানা দুদিন ধরে অনাস্থা বিতর্কে লোকসভায় অনুপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনোত্তর সময়ে সংসদে অনাস্থা বিতর্কে এমন ঘটনা বেনজির বলেই দাবি বিরোধীদের।
লোকসভায় কংগ্রেস এই কথা মনে করিয়ে দিয়েছে যে, সংসদীয় প্রথা হল, বিরোধীরা যখন সেই প্রশ্ন তুলবেন তখন লোকসভার নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী সভায় উপস্থিত থাকবেন। হাত শিবিরের দাবি, অতীতে ২০০৩ সালে এনডিএ সরকারের আমলে যখন কংগ্রেস অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তখন বিতর্কের সময়ে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী সভায় বসে বিরোধীদের কথা শুনেছিলেন। পরবর্তী কালে ইউপিএ জমানায় বিজেপির আনা অনাস্থা প্রস্তাবের সময়ে লোকসভায় দীর্ঘ সময় বসে থেকে বিরোধীদের কথা শুনেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কিন্তু মোদীর দম্ভ ও অহঙ্কার এতটাই যে বিরোধীদের কথা শোনার প্রয়োজনই বোধ করছেন না। উনি মণিপুরের মানুষের কান্না শুনতে পাচ্ছেন না। বিরোধীদের স্বরও না। এটাই স্বৈরাচারের বড় লক্ষণ।