আগামী বছরেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে পূর্বাঞ্চলে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে আসরে নেমে পড়েছেন জেপি নাড্ডারা। শনিবার থেকে বিজেপির পূর্ব ক্ষেত্রের কর্মশালা শুরু হবে। সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ৩১ জন জেলা পরিষদে জিতেছেন। সেই ৩১ জন-সহ রাজ্যের জেলা পরিষদ ও বিভিন্ন স্বশাসিত প্রশাসনিক সংস্থার মোট ১৩৪ জন সদস্য নড্ডার বৈঠকে ডাক পাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। শনি ও রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে হতে পারে পঞ্চায়েত কর্মশালা, বিজেপি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে মরিয়া, তখন বঙ্গ বিজেপিতে গোষ্ঠী কোন্দল অব্যাহত।
গত সোমবার বিজেপির ১১ টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করা হয়েছে। তার পর থেকে বঙ্গ বিজেপিতে অন্তর্কলহ চরমে উঠেছে। নয়া জেলা সভাপতিদের তালিকা প্রকাশের পর যা নজরে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জেলার কর্মীরা। রাজ্য নেতাদের বড় অংশের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যেমন, রদবদলে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব বর্তেছে নবেন্দু নস্করের ওপর। কিন্তু এই নবেন্দুই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিট না পেয়ে কুলপি ব্লকের গাজিপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী অরুণ নস্করের বিরুদ্ধে জোড়া পাতা চিহ্নে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করেছিলেন। তাই এই ব্যক্তিকে কোনও ভাবেই জেলা সভাপতি হিসাবে মেনে নেবেন না বলে বিধাননগর সেক্টর ফাইভে বিজেপি দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, অন্য কাউকে জেলা সভাপতি নিয়োগ করতে হবে। দায়িত্বে থাকলে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের কাছে দল বিক্রি করে দেবে নবেন্দু নস্কর।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি জেলায় সভাপতি বদল না করা নিয়ে আবার দলের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বীরভূমের জেলা সভাপতি বদল করার দাবি উঠেছিল। আবার হাওড়া গ্রামীণ থেকে শুরু করে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কেন বদল করা হল না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অনেকে। এসব জেলায় পঞ্চায়েতে ফল ভাল হয়নি। তা সত্ত্বেও কেন বদল হল না তা নিয়ে ক্ষুব্ধ জেলার কর্মীদের একাংশ। আবার কয়েকটি জায়গায় অপেক্ষাকৃত ভাল ফল হলেও সেখানে বদল করে দেওয়া হয়েছে সভাপতি। বঙ্গ বিজেপির একাংশের মতে, নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই এ রাজ্যে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেভাবে কিছু করতে পারছে না দল। নিজেদের এই গোষ্ঠী কোন্দল অবিলম্বে বন্ধ না হলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির পক্ষে ভাল ফল করা সম্ভব হবে না।