কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে বহুদিন ধরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুরে। এরই মধ্যে হিংসার আগুন লেগেছে আরও এক ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্য হরিয়ানায়। দুই রাজ্যের পরিস্থিতি এক না হলেও পরিস্থিতি ক্রমশই হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে সেখানের নুহ, গুরুগ্রামের মতো জায়গায়। হিংসার বলি হচ্ছেন বহু মানুষ। এবার নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল তিন জেলার ৫০টি পঞ্চায়েত। ক’দিন আগে ওই পঞ্চায়য়েতগুলির তরফে এক নোটিশে জানানো হয়েছে, অশান্ত এলাকাগুলিতে মুসলিম ব্যবসায়ীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। পঞ্চায়েত প্রধানদের স্বাক্ষর করা ওই নোটিশে আরও বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট গ্রামগুলির মুসলিম নাগরিকদের পুলিশের কাছে অতি দ্রুত পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত ৫০টি পঞ্চায়েত রয়েছে রেওয়ারি, মহেন্দরগড় এবং ঝাঁঝর জেলায়। সংবাদমাধ্যমের দাবি, অধিকাংশ গ্রামে সংখ্যালঘু নাগরিকের সংখ্যা হাতে গোনা। ব্যতিক্রম কিছু পরিবার, যারা গত তিন থেকে চার প্রজন্ম ধরে স্থানীয় বাসিন্দা। এই বিষয়ে মহেন্দরগড়ের জেলাশাসকের মনোজ কুমারের বক্তব্য, ‘এই ধরনের চিঠি বেআইনি। আমি হাতে পাইনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। ওই পঞ্চায়েতগুলিকে শো কজ নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি।’ এদিকে এই বিষয়ে মহেন্দরগড়ের সাইদপুরের পঞ্চায়েত প্রধানের সাফাই, গত জুলাই মাসে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে গ্রামে। নুহ-র গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরে এলাকায় বাইরের লোক ঢুকছে। ১ আগস্ট পঞ্চায়েতের একটি বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিই, গ্রামে শান্তি বজায় রাখতে ওদের এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে।