মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ফের জগাই-মাধাই-গদাই তত্ত্ব। ঝাড়গ্রামের সভা থেকে ফের সিপিএম এবং কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপির সঙ্গে তাঁর লড়াই চলছেই। তবে বাংলায় লড়াই হবে কংগ্রেস-সিপিএমের বিরুদ্ধেও।
জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটের স্বার্থে বাংলায় কংগ্রেসকে নিয়ে সুর খানিকটা নরম করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা। একুশের সভায় কংগ্রেসকে নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। সিপিএমকে আক্রমণ করলেও বিজেপির তুলনায় সুর ছিল অনেকটাই নরম। কিন্তু INDIA জোটের সঙ্গীদের প্রতি মমতা যে সৌজন্য দেখিয়েছিলেন, পালটা সেই সৌজন্য তিনি পাননি। বরং বাংলার বাম-কংগ্রেস নেতারা মমতাকে সমানে আক্রমণ করে গিয়েছেন। সিপিএম স্পষ্ট করে দিয়েছে, বাংলায় তাঁরা মমতার বিরুদ্ধেই লড়বে। একই অবস্থান প্রদেশ কংগ্রেসেরও।
এমনকী পঞ্চায়েত স্তরে রাজ্যের প্রায় সব প্রান্তে দেখা যাচ্ছে বাম-কংগ্রেস এবং বিজেপি যৌথভাবে বোর্ড গঠন করছে। স্রেফ তৃণমূলকে রুখে দেওয়ার স্বার্থে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে দ্বিধা বোধ করছেন না বাম এবং কংগ্রেসের কর্মীরা। দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে এর বিরুদ্ধে কোনও বার্তাও দেওয়া হয়নি। সম্ভবত বাম-কংগ্রেসের এই অবস্থানেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। আর সেকারণেই ফের বামেদের বিজেপির সঙ্গে একাসনে বসিয়ে দিলেন তিনি।
ঝাড়গ্রামের সভা থেকে সিপিএম এবং কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বকে তীব্র আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় ওখানে জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া আর এখানে বিজেন্ডিয়া। জগাই-মাধাই-গদাই, বিজেপির কোলে বসে আছে। লজ্জা করে না। মানুষের তো একটা নীতি থাকে। সেই নীতিটা মেনে চলতে হয়। আমাদের লড়াই সিপিএমের বিরুদ্ধে বাংলায়। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বাংলায়, যদি এরকম করতে থাকে ওরা। আর বিজেপির বিরুদ্ধে তো লড়াই থাকবেই’।