পঞ্চায়েত ভোটে দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় যাঁকে শোকজ করে বহিষ্কার করা উচিত ছিল, সেই ‘বিক্ষুব্ধ’কেই কিনা দলের জেলা সভাপতি করা হয়েছে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলায়! বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।
এবার পঞ্চায়েত ভোটে কুলপি পঞ্চায়েত সমিতির ১০ নম্বর আসনে রামনগর গাজীপুরে বিজেপির বিরুদ্ধেই জোড়া পাতা চিহ্নে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়েছিলেন নবেন্দু সুন্দর নস্কর। তাঁকেই এবার মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করেছে বিজেপি। রবিবার নয়া জেলা সভাপতিদের তালিকা প্রকাশের পর যা নজরে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জেলার কর্মীরা।
নতুন জেলা সভাপতি নবেন্দু সুন্দর নস্করকে নিয়ে ক্ষোভ এমন স্তরে পৌঁছেছে যে তাঁর কুশপুতুলও দাহ করেন বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাকে ঘিরে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল আরও চরমসীমায় পৌঁছেছে। বিজেপির কর্মকর্তাদের একাংশের প্রশ্ন, যে ব্যক্তি পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে হারাতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন তাঁকেই জেলা সভাপতি করা হল কেন?
এদিকে, বেশ কয়েকটি জেলায় সভাপতি বদল না করা নিয়ে আবার দলের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বীরভূমের জেলা সভাপতি বদল করার দাবি উঠেছিল। আবার হাওড়া গ্রামীণ থেকে শুরু করে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কেন বদল করা হল না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অনেকে।