কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ-ধর্ণায় বসেছিল তৃণমূল। রবিবার কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় সে ছবি দেখা গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের ঠ্যাঙাপাড়া বাতাসকুড়ি মোড়েও এরকমই একটি প্রতিবাদ মঞ্চ হয়। হঠাৎই সেই মঞ্চে গিয়ে হাজির হন এলাকার বিজেপি বিধায়ক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় চাপানউতর। বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় শুধু তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভেই যাননি, সেখানে দিয়ে মাইক্রোফোন হাতে তুলে নিয়ে বক্তব্যও রাখতে থাকেন।
বিধায়ককে দেখে অবস্থানমঞ্চে থাকা এক তৃণমূল নেতা সরাসরি বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্র রায়কে প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না? উজ্জ্বলা যোজনা নিয়েও প্রশ্ন করেন তৃণমূল নেতা। এরপরই হাতে মাইক্রোফোন তুলে নেন বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল অবধি তৃণমূলেরই বিধায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে হেরে যান কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে। এরপর একুশের বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর দল বদলের সময় সত্যেন্দ্রনাথও বিজেপিতে যোগ দেন। পদ্ম-টিকিটে জিতে বিধায়কও হন।
এদিন তৃণমূলের মঞ্চে এসে বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে তৃণমূলের কর্মসূচি, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। সব দলেরই নিয়ম থাকে। তৃণমূলও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা মেনেই দলের কর্মীরা এখানে বসেছেন। আমিও এক সময় তৃণমূলে ছিলাম, এখন বিজেপি করি, বিজেপির বিধায়ক। শুধু বলব, শান্তিপূর্ণভাবে আপনারা দাবিদাওয়া জানান। এটা দিল্লিতে যাবে। কেন্দ্রের সরকার ও বাংলার সরকার আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আমি শুনেছি, যথার্থ জানি না, তবে কিছু টাকার হিসাবের গরমিলের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নাকি টাকা এখনও দিচ্ছে না। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এসব মিটিয়ে নিক। বাংলার প্রান্তিক মানুষের রোজকার চলার জন্য যা যা প্রয়োজন, যেসব টাকা আটকে আছে বাংলার মানুষ তা পাক’।