পুরুলিয়ায় ফের শক্তিবৃদ্ধি ঘটল ঘাসফুল শিবিরের। শনিবার জঙ্গলমহলে একটি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন পুরুলিয়ার কাশিপুর বিধানসভা কার্যালয়ে ওই ব্লকের সিমলা-ধানাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়মি সমর্থিত নির্দল জয়ী সদস্য নিতু মাহাতো সদলবলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। ওই জয়ী সদস্যের সঙ্গে ১০টি পরিবার শাসকদলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। এই যোগদান কর্মসূচিতে ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদক তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্য স্বপন বেলথরিয়া। জেলা সভাপতি বলেন, “জেলায় যেসব গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও ত্রিশঙ্কু আছে বোর্ড গঠনের আগেই সেগুলো আমরা দখল করব। গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদস্যরা উন্নয়নের কারণেই আমাদের দলে যোগদান করছেন।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিমলা-ধানাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১২টি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পায় ৬ টি আসন। বিজেপি চারটি, কুড়মি সমর্থিত নির্দল একটি ও সাধারণ নির্দল একটি আসন। কুড়মি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী শাসক দলে চলে আসায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭। আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা (প্রধান নেতা) অজিতপ্রসাদ মাহাতো বলেন, “আমাদের সদস্যদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে শাসক দল যোগদান করাচ্ছে। এই যোগদানের বিরুদ্ধে আমাদের গ্রামে-গ্রামে মিটিং-মিছিল হবে। যেভাবে শাসক দল আমাদের জয়ী সদস্যদেরকে দলে টানছে এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে আমাদের গুরুত্ব কতখানি। আমাদের ছাড়া শাসক দল বোর্ড গঠন করতে পারছে না।” তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ওই জয়ী সদস্য নিতু মাহাতোর গলায় ধরা পড়েছে সম্পূর্ণ বিপরীত সুর। “আমি স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করেছি। নির্দলে থেকে উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই আমি তৃণমূলে এলাম”, স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।