সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের ঘটেছে ভরাভুবি। তারপরও দুঃসময় কাটছে না বঙ্গ বিজেপিতে। রবিবার এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী রইল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন রাজ্যজুড়ে ব্লকে ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ির অদূরে অবস্থান বিক্ষোভে নেমেছেন দলীয় কর্মী, সমর্থকরা। দলের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনে বিজেপি নেতাদের বাড়ির থেকে ১০০ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান চলছে সব জায়গায়। আর গঙ্গারামপুরের বাতাসকুড়ি মোড়ে আচমকাই সেই অবস্থান মঞ্চে পৌঁছে গেলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক সত্যেন রায়। মাইক নিয়ে জানালেন, তিনি তৃণমূলের দাবিকে সমর্থন করেন। তাঁর এই ভূমিকায় শোরগোল পড়ে যায় জেলার রাজনৈতিক মহলে। আজ দুপুরে গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়কের বাড়ির অদূরে, বাতাসকুড়ি মোড়ে অবস্থান মঞ্চে জমায়েত হন জেলা তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ। দাবি একটাই, রাজ্যের প্রাপ্য দ্রুত মিটিয়ে দিক কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, এই অবস্থানের মাঝেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে সটান তৃণমূলের সেই অবস্থান মঞ্চে পৌঁছে যান গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন রায়। তাঁকে দেখে প্রথমে বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মীরা হতভম্ব হয়ে যান। এরপর বিধায়ক নিজেই মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোনে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য, ”আমিও আপনাদের এই দাবির সঙ্গে একমত। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার একসঙ্গে বসে ঠিক করুক, কীভাবে এই সমস্যা মেটানো যায়। এটা সরকারের দায়িত্ব, বিধায়কদের নয়।” তবে তাঁর এই বক্তব্যে বরফ গলা দূরে থাক, তাঁর কাছেই জবাবদিহি চেয়ে স্লোগান তুলতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। নিরাপত্তারক্ষীরা বিধায়ককে সেখান থেকে নিরাপদে বের করে গাড়িতে তুললেও তাঁরা গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তবে তৃণমূলের মঞ্চে উঠে তাঁদের দাবিকে বিজেপি বিধায়কের এভাবে প্রকাশ্যে সমর্থনের ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। স্বভাবতই এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে জেলার গেরুয়া-নেতৃত্ব।