সাম্প্রতিক কালে গোটা দেশ জুড়েই বেড়েছে সাইবার ক্রাইমের ঘটনা। বাদ যায়নি এ রাজ্যও। এই পরিস্থিতিতে আসতে থাকা একের পর এক তদন্তের দ্রুত অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন প্রচুর পুলিশকর্মী। কিন্তু এই সব ঘটনার ক্ষেত্রে যে ধরনের প্রশিক্ষণ থাকা উচিত পুলিশ কর্মী থেকে আধিকারিকদের তা অনেকের ক্ষেত্রেই থাকে না। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পুলিশের ৮০০-র বেশি পুলিশকর্মীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মূলত সাইবার প্রতারণা রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও প্রায় ৪০০ জন সরকারি আইনজীবী এবং জুডিশিয়াল অফিসারকেও এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের নিজস্ব গোয়েন্দা বাহিনী সিআইডি-র সাইবার সংক্রান্ত অপরাধ ও আর্থিক প্রতারণা বিভাগের স্পেশাল সুপার সায়ক দাস।
তাঁর দাবি, গত দু’বছরে সাইবার সংক্রান্ত অপরাধের হার ছ’গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে সবার আগে আছে সামাজিক মাধ্যম কেন্দ্রিক অপরাধ এবং অনলাইন আর্থিক প্রতারণা। কখনও ঋণ সরবরাহকারী অ্যাপের মাধ্যমে, কখনও আবার ইলেকট্রিক বিল সংক্রান্ত নানা ভুয়ো লিঙ্ক পাঠিয়ে প্রতারণা হচ্ছে। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, পিসিং মেল, কল সেন্টার, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুযোগ করে দেওয়া প্রভৃতি নানা মোড়কে চলছে সাইবার অপরাধ। সেক্সটরশানও এর মধ্যে অন্যতম। ভুয়ো ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ, ক্রিপ্টো মাইনিং, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ভয়েস ক্লোনিং বা ডিপ ফেক, ডিস্ট্রিবিউটেড ডেনিয়াল অব সার্ভিস এবং উন্নতমানের র্যানসামওয়্যার সাইবার প্রতারণার জাল বিছিয়ে দিচ্ছে সর্বত্র।