৩৫ বছর পর ব্রিগেডে সমাবেশ করল এসইউসিআই। কেন এই মার্কসবাদী দল গঠন? নিজের বক্তব্যের শুরুতে তা তুলে ধরেন এসইউসিআই-য়ের সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ। সেই প্রসঙ্গেই আগাগোড়া কটাক্ষ করেন সিপিআইএম’য়ের। তুলে ধরেন বামফ্রন্ট শরিক সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লকের নীতিহীনতার কথা।
দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সাধারণ সম্পাদক শিবদাস ঘোষের জন্ম শতবার্ষিকীর সমাপ্তিতে শনিবার ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছিল এসইউসিআই। ৫ আগস্টের এই সমাবেশ ঘিরে জেলায় জেলায় বহুদিন ধরে প্রচার চালিয়ে ছিল এই বাম দলটি। প্রত্যাশা মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্রিগেড ভরিয়েছিলেন দলের বহু কর্মী, সমর্থক। ব্রিগেডে ১৩০ ফুট লম্বা, ৩০ ফুট চওড়া মঞ্চের সামনে ভিড ছিল চোখে পড়ার মতো।
সিপিএম, আরএসপি, সিপিআই, ফরওয়ার্ডব্লককে নিশানা করে এসইউসিআই সাধারাণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ এদিন বলেন, ‘এসইউসিআই-কে অনেক বাম মনোভাবাপন্ন দল ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেছিল। সেই সময় যাঁরা এই দলকে বিদ্রুপ করেছিল, তাঁরা আজ প্রায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। এসইউসিআকে ব্যাঙের ছাতা বলে বিদ্রুপও করা হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশে সিপিআই বলে কোনও পার্টি নেই। আরএসপি, ফরওয়ার্ডের মতো দলগুলি ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। এই সমাবেশ সে সবের জবাব।’
সিপিআইএম প্রসঙ্গে ইসইউসিআই সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘ঐক্যবদ্ধ সিপিআই লোকসভায় সর্ববৃহৎ বিরোধী রাজনৈতিক দল ছিল। ১৯৬৪ সালের সিপিএম তৈরি হওয়ার পর তারা কেরল, ত্রিপুর ও পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় ছিল। ১৯৭৭ সাল থেকে একটানা ৩৪ বছর তারা বাংলার সরকার চালিয়েছে। আজ তাদের অবস্থা কী? বাংলায় নির্বাচনে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য তারা কংগ্রেসের হাত ধরেছে। ক্ষমতার জন্য একজন পীরকে ধর্মনিরপেক্ষ সাজিয়ে তাঁর হাত ধরেছে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলও তাদের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু এখানে তৃণমূলের সঙ্গেই সিপিএমের লড়াই। আজকে এই হচ্ছে সিপিএমের অবস্থা।’