বাংলার পর্যটন-ক্ষেত্রের উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার বাংলাদেশ সীমান্তে একটি বায়ো ডাইভার্সিটি পার্ক তৈরি করতে চলেছে রাজ্য। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে ঢোলোগ্রামে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে জীব বৈচিত্র্যকে তুলে ধরা হবে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী খারিজা বেরুবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোলোগ্রামে রয়েছে একটি গঙ্গা মন্দির। এই মন্দির ও তাকে ঘিরে প্রতিবছর আয়োজিত হয় মেলা।
মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮৮৯ সাল থেকে নিত্যপুজো হয় ঢোলোগ্রামে এই মন্দিরে। মন্দিরের ঐতিহ্য ও মানুষের আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে গঙ্গা মন্দিরের মেলার মাঠকে বায়ো ডাইভারসিটি পার্ক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ১৮৮৯ সাল থেকে ঢোলোগ্রামে একটি টিনের ছাউনি দিয়ে গঙ্গা মন্দিরে পুজো শুরু হয়। এর পাশাপাশি পূজিত হন গঙ্গা, মহাদেব ও কালী। মন্দিরের মেলার মাঠে প্রতিবছর চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে বহু মানুষের সমাগম হয়। পুণ্যার্থীরা যমুনা নদীতে বারুণী স্নান করেন। সপ্তাহব্যাপী মেলা চলে। এবার সেই শতবর্ষ পুরনো মন্দিরকে কেন্দ্র করেই বায়ো ডাইভারসিটি পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হল। সম্প্রতি জেলাশাসকের দফতর থেকে আধিকারিকরা এসে মন্দির ও সংলগ্ন মেলার মাঠ ঘুরে দেখে গিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন মিললে অবিলম্বেই কাজ আরম্ভ হবে, সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে এমনটাই।