জেলা আদালতের নির্দেশে গত ২৪ জুলাই সকাল থেকে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে জরিপ শুরু করেছিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)। কিন্তু ওদিন দুপুরের পরই জরিপ বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবারই সকাল ৭টা নাগাদ পুনরায় শুরু হয়েছে তা। কাশী বিশ্ববিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ভেঙেই ওই মসজিদ তৈরি হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে বৃহস্পতিবার জরিপের নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মুসলিম পক্ষ। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জরুরি ভিত্তিতে আবেদন শুনবেন বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দেন। মনে করা হচ্ছে, শুক্রবার সকালেই আর্জি নিয়ে শুনানি শুরু হবে সুপ্রিম কোর্টে। মুসলিম পক্ষের দাবি, এই জরিপ আইন বিরুদ্ধ এবং এতে মসজিদের ক্ষতি হতে পারে। যদিও এলাহাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবারের রায়ে স্পষ্ট বলেছে, জরিপের সময় কোনও ধরনের খনন কাজ করা যাবে না। মসজিদের একটি ইটও সরানো যাবে না।
এর আগে গত ২৪ জুলাই শীর্ষ আদালত জেলা আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে মামলা এলাহাবাদ হাইকোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছিল। ২৪ তারিখ দুপুরের পর জরিপ বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের উপর নিজেদের অবস্থান জানাবে। তখনই স্পষ্ট হবে জরিপ চলবে নাকি চলবে না। এদিকে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় এবং জরিপ ঘিরে বারাণসীতে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিসরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৭ অগাস্ট সোমবার পর্যন্ত। শহরে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।