ফের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা রাজ্যপালের। ভোটের আগে পিস রুমের ধাঁচে রাজভবনে খুললেন অ্যান্টি করাপশন সেল। সাধারণ মানুষ এই কন্টোল রুমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। দুর্নীতির নালিশ শুনতে তিনটি আলাদা সেল খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল এদিন বলেন, কণ্ঠহীনদের কণ্ঠ দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজভবন। হিংসায় নজর রাখতে রাত জাগার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজভবন, যাতে গরিব মানুষ শান্তিতে ঘুমোতে পারেন।
সি ভি আনন্দ বোসের বার্তা, অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করতে চায় রাজভবন। দুর্নীতিবাজদের ওয়ার্নিং বেল দিতে চান। আর যাঁরা কিছু লুকোতে চান, তাঁদের জন্য এটা অ্যালার্ম বেল হিসেবে কাজ করবে। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা অশান্তির খবর পেয়ে রাজ্য জুড়ে পরিদর্শনে বার হয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নিজেকে দাবি করেছিলেন, গ্রাউন্ড জিরো রাজ্যপাল হিসেবে। কোচবিহার থেকে ক্যানিং, ভাঙড় থেকে মালদা সমস্ত অশান্তির জায়গায় গিয়ে আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি।
এমনকী পিসরুমও খুলেছিলেন তিনি। রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠানে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যায় রাজভবনে। তবে এবারে সেই সম্পর্কের অবনতি ঘটছে। তবে এদিন রাজ্যপালকে ফের নিশানা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাইরে থেকে লোক এনে কেন বিশেষজ্ঞ কমিটিতে? ধনখড়ের সঙ্গেও বিতর্ক হয়েছে, কিন্তু এরকম হয়নি। কেন্দ্রের ইশারায় সব কাজ করছেন।
রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত এ রাজ্যে প্রথম নয়। তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘রাজ্যপাল দুর্নীতির বিষয়ে স্পেশাল সেল করছেন। এটা কিন্তু রাজ্যপালের কাজ নয়। যেটা রাজ্য সরকারের অধিকার, সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করছেন উনি। বাইরে থেকে এক্সপার্ট কেন আনছেন? রাজ্যে নেই? সরকার তো নাম পাঠাবে।’