বাইশ গজে আর দেখা যাবে না মনোজ তিওয়ারিকে। বৃহস্পতিবার, ক্রিকেট থেকে নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করলেন তিনি। আজ ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মনোজ। অর্থাৎ, বাংলার হয়েও তাঁকে আর খেলতে দেখা যাবে না। প্রসঙ্গত, গত মরসুমই যে মনোজের শেষ মরসুম ছিল, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। সে কারণেই রঞ্জি ট্রফিতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে তা স্বীকার করেননি কেউ। মনোজ নিজে খুব একটা খারাপ খেলেননি সারা মরসুমে। দলও উঠেছিল ফাইনালে। কিন্তু ইডেন গার্ডেন্সে সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরে যায় বাংলা। তার পরে মনোজ জানিয়েছিলেন, আরও একটি মরসুম রঞ্জিতে খেলার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। ট্রফিটা এক বার হাতে ধরতে চান। কিন্তু সেই ইচ্ছে অধরাই রইল। হঠাৎই ক্রিকেটজীবনে ইতি টানলেন রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশের হয়ে ১২টি একদিনের ওডিআই ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মনোজ। একদিনের ক্রিকেটে একটি শতরানও রয়েছে তাঁর।
বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে মনোজ লিখেছেন, “ক্রিকেট খেলাকে বিদায় জানালাম। এই খেলা আমাকে সব কিছু দিয়েছে। প্রত্যেকটা ছোটখাটো জিনিস যা আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি। জীবনে বার বার অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। ক্রিকেট খেলার প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। ঈশ্বরের প্রতিও, যিনি বরাবর আমার পাশে থেকেছেন।” মনোজ আরও লিখেছেন, “যাঁরা আমার এই ক্রিকেটযাত্রায় পাশে থেকেছেন তাঁদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ক্রিকেট জীবনে যা কিছু অর্জন করেছি তার জন্যে ছোটবেলার কোচ থেকে শুরু করে গত বছরও যার অধীনে খেলেছি, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমার এই যাত্রায় মানবেন্দ্র ঘোষ শুধু কোচই ছিলেন না, আমার বাবার মতোই ছিলেন। উনি না থাকলে আজ ক্রিকেটে এত দূর আসতে পারতাম না। আপনাকে ধন্যবাদ। ইদানীং আপনার শরীর ভাল নেই। তাই দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। ধন্যবাদ বাবা-মাকে। কখনও পড়াশোনার জন্যে অতিরিক্ত চাপ দেননি আমাকে। ক্রিকেট খেলতে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। আমার জীবনে আসার পর থেকে সব সময় পাশে দাঁড়ানোর জন্যে স্ত্রী সুস্মিতাকে ধন্যবাদ।” পাশাপাশি, দলের সব সতীর্থ, কোচ এবং আজীবন যাঁরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদেরকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক।