বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের জোর আপাতত অনেকটাই কম। এখন তা দুর্বল হয়ে সরে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের দিকে। ফলত, বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বদলাবে আবহাওয়া। কমবে বৃষ্টি। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ৭ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়বে তাপমাত্রা। তবে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দুই-এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের দু-এক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বাংলার একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে পাসিং শাওয়ার বা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গভীর নিম্নচাপ সরে গেলেই তার ছেড়ে যাওয়া জলীয় বাষ্প অস্বস্তি বাড়াবে দক্ষিণবঙ্গে। আর্দ্রতা থাকবে ৯০ শতাংশের কোঠায়। ফলে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে ক্রমশ।
পাশাপাশি, ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার জেলাতে। আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলা-দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদা ও দুই দিনাজপুরে। কলকাতার আকাশ আজ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন। হালকা ও মাঝারি কয়েক পশলা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার রাতের টানা বৃষ্টির হাত ধরে কাল শহরে দিনের তাপমাত্রা ৩৪.২ থেকে একধাক্কায় কমে ২৯.৫ ডিগ্রি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার থেকে ফের তা বাড়বে। ৭২ ঘন্টায় ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা। কাল রাতের তাপমাত্রা ২৬.৬ ডিগ্রি। অর্থাৎ কাল দিন ও রাতের তাপমাত্রায় ফারাক ছিল মাত্র ৩ ডিগ্রির। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮১ থেকে ৯৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির পরিমাণ কমে মাত্র ২ মিলিমিটার। আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও জলীয় বাস্পের জেরে বেলা বাড়লেই অনুভূত হবে ঘর্মাক্ত পরিস্থিতি।