চোট সারেনি এখনও। ফলত আসন্ন সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ প্রতিযোগিতায় খেলার সম্ভাবনা নেই কে এল রাহুলের। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারিয়ে ফিট হতে আরও সময় লাগবে তাঁর। অন্য দিকে, চোটের কারণে এশিয়া কাপ-সহ এবছরের ওডিআই বিশ্বকাপেও হয়তো খেলতে পারবেন না শ্রেয়স আয়ার। প্রসঙ্গত, ঊরুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে রাহুলের। অন্য দিকে, স্ট্রেস ফ্র্যাকচার সারাতে পিঠে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে শ্রেয়সের। বোর্ডের শেষ মেডিক্যাল বিবৃতিতে এই দুই ক্রিকেটারের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন নিয়ে কিছুই লেখা হয়নি। কিন্তু দু’জনেরই যে ফেরার সম্ভাবনা কম, তা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের জনৈক সূত্র। “৫০ ওভারের ক্রিকেটের জন্যে রাহুল এবং শ্রেয়স দু’জনেরই ম্যাচ ফিট হওয়া মুশকিল। তা-ও আবার শ্রীলঙ্কার মতো গরমের দেশে। তবে বোর্ডের চিকিৎসক দল চেষ্টা করছেন যাতে বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে রাহুলকে সুস্থ করে খেলানো যায়”, বলেছেন তিনি।
পাশাপাশি, উক্ত সূত্র এও জানান, “শ্রেয়স ইতিমধ্যেই অনুশীলন শুরু করেছে। যদি বোর্ড মনে করে ১০০ শতাংশ ফিট শ্রেয়সকে নামাবে, তা হলে বিশ্বকাপ এ বারের মতো ওর কাছে হাতছাড়াই হতে পারে। টি-টোয়েন্টি হলে ওর কাছে ফিরে আসা সহজ হত। কিন্তু ৫০ ওভারের ক্রিকেটে সেটা সম্ভব নয়। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।” রাহুল ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটকিপিংয়ের প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সবে সারার পরেই ৫০ ওভার উইকেটকিপিং করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পরের মাসের শুরুতেই রয়েছে এশিয়া কাপ। ফলে হাতে সময় খুবই কম। রাহুলকে নিয়ে বোর্ড আরও বেশি চিন্তিত, কারণ পাঁচ নম্বরে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার। মিডল অর্ডারে তাঁকে দরকার ভারতের। আপাতত দু’জনের মধ্যে অন্তত এক জনকে বিশ্বকাপের আগে ফিট করে তোলাই মূল লক্ষ্য বোর্ডের।