কেটে গিয়েছে প্রায় দু’মাস। এখনও দেশবাসীর মন থেকে স্তিমিত হয়নি করমণ্ডল এক্সপ্রেস-দুর্ঘটনার বিভীষিকা। ঘটনার দু’মাস পরেও শনাক্ত হয়নি। ভুবনেশ্বরের এইমসে এখনও রয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস-দুর্ঘটনার মৃত ২৯ জনের দেহ। সম্প্রতি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই। উল্লেখ্য, ভয়ংকর ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে কিছু দেহ শনাক্ত করা কঠিন হচ্ছিল। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ওই দেহগুলির শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর পরেও বেশকিছু দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। গত ২রা জুন সন্ধ্যায় উড়িষ্যার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে তিন ট্রেনের সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মালগাড়ি, শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস। যার জেরে প্রাণ হারান ২৯৩ জন। বারোশোরও বেশি যাত্রী আহত হন।
এপ্রসঙ্গে এইমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৬২ জনের দেহ পাঠানো হয়েছিল এমসে। প্রথম দফার ডিএনএ পরীক্ষার পর ৮১ জনের দেহ শনাক্ত হয়। একাধিক দাবিদার-সহ অন্যান্য সমস্যায় অবশিষ্ট ৮১ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। দ্বিতীয় দফার ডিএনএ পরীক্ষার পর ৫২ জনের দেহ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখনও ২৯ জনের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। তা হাসপাতালেই সংরক্ষণ করা রয়েছে। যদিও ভুবনেশ্বরের এইমসের সুপারিনটেনডেন্ট দিলীপ কুমার পারিদা জানিয়েছেন, আরও এক দফা ডিএনএ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। যদিও সেক্ষেত্রে দু’ থেকে তিনটি ইতিবাচক রিপোর্ট মিলতে পারে। বাদবাকি দেহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, রাজ্য সরকার এবং রেল, এমনটাই জানিয়েছেন সুপারিনটেনডেন্ট।