কিছুদিনের মধ্যেই নাকি বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠতে চলেছে ভারত। এই দাবি প্রায়শই করে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর সরকারের মন্ত্রকের রিপোর্টেই ধরা পড়ল এই দাবির ঠিক উল্টো ছবি। জানা গিয়েছে, গত ৫ বছরে দেশজুড়ে ৯৬ হাজার সংস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ১১ হাজার বন্ধের অপেক্ষায়।
সিংহভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ অর্থাভাব এবং চরম লোকসান। কোভিডের জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এহেন জল্পনা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের তরফে। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান বলছে, আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া অথবা ক্রমাগত বছরের পর বছর মুনাফার মুখ দেখতে না পাওয়ার কারণে অসংখ্য কারখানা এবং সংস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোম্পানি আইনের শরণাপন্ন হয়ে এরকম সংস্থা বন্ধ করে দেওয়ার সংখ্যা ৯৬ হাজার ২৬১। ১১ হাজারের বেশি কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আবেদন অনুমোদনের জন্য অপেক্ষারত। কোম্পানি আইনের ২৪৮ (২) ধারা অনুযায়ী আরও সহজে যাতে এই সংস্থাগুলির আবেদন মঞ্জুর হয়ে যায়, সেই প্রক্রিয়া নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ ওই কোম্পানিগুলি বন্ধ হতে শুধু সরকারি সিলমোহরের প্রতীক্ষা। আর এই ছবিই বলে দিচ্ছে, মোদী সরকার ও বিজেপি যতই উচ্চগ্রামে প্রচার চালাক না কেন বাস্তবে দেশের উৎপাদন সেক্টর এবং শিল্প উৎপাদনের হার বিগত বছরগুলির তুলনায় নিম্নগামী, তারই প্রতিফলন সর্বশেষ এই রিপোর্ট। বিগত ৫ বছরে যে দেশের শিল্প উৎপাদন হার তলানিতে ঠেকেছে, সেটাও প্রমাণিত হয়ে গেল।