ফের বড়সড় বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীনই দু’হাত তুলে নাচার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে! অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। শুভেন্দুর আচরণের নিন্দা করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। কেন্দ্রের টাকা আটকে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের পালটা বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের চিঠির প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু দাবি করেন,”আমি কখনও কেন্দ্রের টাকা বন্ধ করার কথা বলিনি। আমি বলেছি চুরি বন্ধ করতে। চুরি বন্ধ হোক, দরকার পড়লে আমিও দিল্লী গিয়ে টাকা আদায় করব।” শুভেন্দুর বক্তব্যের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। চন্দ্রিমার ভাষণের পর বিধানসভায় এমন অনভিপ্রেত ঘটনাটি ঘটে।
শুভেন্দুর অভিযোগ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বলতে থাকেন। কেন তাঁকে বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এই প্রশ্ন করেন বিরোধী দলনেতা। তাতে স্পিকার জানান, বিরোধী বিধায়করাও অনেক সময় নষ্ট করেন। আর স্পিকার চাইলে কোনও বক্তাকে অতিরিক্ত সময় দিতেই পারেন। এসবের মধ্যেই আবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বক্তৃতায় পিএম কেয়ার ফান্ডের গোপনীয়তার বিষয়টি তুলে আনেন চন্দ্রিমা। সেটার আবার প্রতিবাদ করেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও অশোক দিন্দা। চন্দ্রিমা তাঁদের বলেন, “আপনারা আমার সন্তানসম।” তারপরই বিজেপি বিধায়করা ওয়াক আউট করেন। তৃণমূলের অভিযোগ, ওয়াক আউট করার সময় দু’হাত তুলে কীর্তনের ধাঁচে নৃত্য করেছেন শুভেন্দু। বিধানসভায় তৃণমূলের উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায় স্পিকারের কাছে অভিযোগ করেন, “কোনও বিধায়ক অসংসদীয় কথা বললে তা রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর আগে বিজেপি বিধায়কেরা অধিবেশনে হাততালি দিয়েছেন। আজ তো বিরোধী দলনেতা দু’হাত তুলে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে নৃত্য করে গেলেন।” সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দুর আচরণের নিন্দায় মুখর হন স্পিকার। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে শোরগোল।