বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই তিলোত্তমা কলকাতাকে আরও নতুন করে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সময়েই শহর সেজে উঠেছে নয়া আঙ্গিকে। এমনকী জেলাতেও পড়েছে নানান অভিনবত্বের ছোঁয়া। তবে কলকাতায় যেহেতু ভিন রাজ্য থেকে দেশ-বিদেশের মানুষের যাতায়াত বেশি, তাই সেখানকার সৌন্দর্যায়ন বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ডানলপের মহামিলন মঠের সামনে তৈরি হচ্ছে গেটওয়ে অফ কলকাতা তোরণ। এই গেটওয়ে অফ কলকাতা তোরণ তৈরি করতে খরচ হবে ৩ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। এই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এই তোরণের মাধ্যমে উত্তর শহরতলি থেকে শহরে প্রবেশের ‘চিহ্ন’ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। তবে এই তোরণ তৈরি করা নিয়ে মঙ্গলবারও একপ্রস্থ আলোচনা হয়। আজ বুধবার গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন জেলাশাসক বলে জানা গিয়েছে। এই জায়গাটিতে ৫০ ফুট উচ্চতার দু’টি তোরণ তৈরি হবে। তার ফলে কলকাতা একটা আলাদা চেহারা নেবে। পর্যটনের ক্ষেত্রে যা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
পাশাপাশি, নিবেদিতা সেতু এবং বালি ব্রিজ হয়ে কলকাতায় আসার মূল প্রবেশপথ হচ্ছে ডানলপ। তারপর ডানলপ পেরিয়ে বিটি রোড ধরে সোজা কলকাতায় আসা যায়। এই রাস্তার উপরই মহামিলন মঠ। তার দু’দিকে রাস্তার উপরে দু’টি সুউচ্চ তোরণ তৈরি করা হবে। রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতর এই তোরণ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই তোরণ নির্মাণ করার বিষয়ে এখন সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। শুধু গড়ে ওঠার অপেক্ষা। তবে কাজও শুরু হয়েছে। কিছু জটিলতা থাকলেও এখন তা কাটিয়ে উঠে জোরকদমে কাজ শুরু হয়েছে। এখন প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক চলছে বলেই জানিয়েছে সূত্র। উল্লেখ্য, দক্ষিণেশ্বর থেকে যে রাস্তা ডানলপ যাচ্ছে সেই রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে সীতারামদাস ওঙ্কারনাথ সরণী। আর চলতি বছরে সীতারামদাস ঠাকুরের ১৩৪ তম জন্মবার্ষিকী। ডানলপের কাছেই সীতারামদাস প্রতিষ্ঠিত মঠই মহামিলন মঠ বলে সবাই জানে। এই বিষয়ে ওঙ্কারনাথ মিশনের সভাপতি কিঙ্কর প্রিয়নাথ বলেন, ডানলপ কলকাতার একটি প্রবেশদ্বার। তাই মঠের সামনে তোরণ দু’টি তৈরি করা হবে। সেখানে ওঙ্কারনাথ দেবের মূর্তি বসানো হবে। আগামী ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওঙ্কারনাথ দেবের জন্মদিনে এই তোরণের উদ্বোধন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।