বঙ্গোসাগরে ঘনীভূত হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। ফলত ধেয়ে আসছে দুর্যোগ। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। ভারী বৃষ্টিতে বিপদ এড়াতে এবার জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করল নবান্ন। বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের জন্য। এমনকী, কলকাতা পুরসভাকেও সতর্ক করা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ভার্চুয়ালি জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার পাশাপাশি বিপদ মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। মঙ্গল ও বুধবার রাজ্যের ১৬ জেলায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণে যাতে কলকাতা জলবন্দি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পুরসভাকে।
প্রসঙ্গত, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোসাগরে অবস্থানকারী নিম্নচাপ আরও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, মঙ্গল ও বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আজ দুপুরেই কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছিল কলকাতা-সহ একাধিক জেলার আকাশে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলছে। প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও। বইবে দমকা হাওয়াও। গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে। বুধবার ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে। এই জেলাগুলিতে ৪৫-৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে নিম্নচাপ ক্রমশ সরবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে। যার জেরে উপকূল সংলগ্ন এলাকায় হাওয়ার গতিবেগ বাড়বে। আর সেই কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।