এবার ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ হিসাবে পেতে চলেছে গ্রাম বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। নতুন অর্থবর্ষে মমতা সরকারের পঞ্চায়েত দফতর এই বিপুল পরিমাণ ঋণ টার্গেট বেঁধে দিয়েছে রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে পাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। জেলাগুলিকে নিজ নিজ লক্ষ্যমাত্রা জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। ফলে চরম ধাক্কার মুখে পড়েছে গ্রামবাংলার অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে গ্রামীণ অর্থব্যবস্থাকে সচল রাখতে মমতা সরকারের বাজি গ্রাম বাংলারই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। তাই নতুন অর্থবর্ষে তাদের ঋণ প্রদানের অঙ্ক নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার আঘাত থেকে এই ঋণের মাধ্যমে গ্রামবাংলাকে খানিকটা হলেও বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন রাজ্যের অর্থ ও পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকেরা।
অস্বীকার করার উপায় নেই এই বিপুল পরিমাণ টাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের হাত ধরেই বাংলার অর্থনীতিতে বিনিয়োগ হতে চলেছে। এর ফসল যে শুধু ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাই পাবেন তাই নয়, সমৃদ্ধ হবে রাজ্যের কোষাগারও। এদিন থেকেই বাংলাজুড়ে শুরু হচ্ছে ‘শিল্পে সমাধানে’ কর্মসূচি। ব্লকে ব্লকে হবে শিবির। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের জন্য ঋণ-আবেদনের ব্যবস্থাও থাকবে। এই কর্মসূচিকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।