প্রকাশ্য এল ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাসের মানবদরদী রূপ। সোমবার রাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ক্যানিংয়ের তালদির বাসিন্দা জনৈক দুলাল মণ্ডলের স্ত্রী মাধবীদেবী। তাড়াতাড়ি তাঁকে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা জানান খুব দ্রুত রক্ত দিতে হবে, না হলে বিপদ হতে পারে। মাথায় হাত পড়ে দুলালবাবুর। কারণ প্রয়োজনীয় ‘ও’ পজিটিভ রক্ত মজুত ছিল না হাসপাতালে। মাধবীদেবীর তিন ছেলেও ‘ও’ পজিটিভ রক্তের জন্য হন্যে হয়ে খোঁজ খবর শুরু করেন। না পেয়ে কী ভাবে মাকে বাঁচাবেন সেই চিন্তায় বিমর্ষ হয়ে পড়েন। এদিকে জরুরি ভিত্তিতে রোগীকে রক্ত দিতে হবে বলে বারবার বাড়ির লোকজনকে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী যুবক তাপস মণ্ডল এগিয়ে আসেন। তিনি ‘ও’ পজিটিভ রক্ত চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন জানান।
এরপর সেই পোস্ট দেখেই এগিয়ে আসেন পরেশরাম দাস। সঙ্গে সঙ্গেই ফোন করে রোগীর পরিবারকে জানান, তিনি রক্ত দেবেন। তাঁরও ব্লাড গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ। সকাল হতেই বিধায়ক সোজা চলে আসেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। মাধবীদেবীর প্রাণ বাঁচাতে রক্ত দেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মাধবীদেবী বলেন, “পরেশ দীর্ঘজীবী হোক। ওর মতো মানুষ সমাজের বুকে প্রয়োজন। ঈশ্বর ওঁকে আশীর্বাদ করুন সেই কামনাই করব।” তাঁর দেওয়া রক্তে মাধবী অনেকটা সুস্থ হয়েছেন জানতে পেরে আপ্লুত পরেশরাম। “আমার রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ। আমার মা নেই। হাসপাতালের বেডে মরণাপন্ন ওই মাকে বাঁচাতে রক্তদান করেছি। আমার রক্তে তাঁর প্রাণ বেঁচেছে জেনে ভাল লাগছে খুব”, জানিয়েছেন তিনি।