আজ মঙ্গলবার থেকে প্রায় এক মাস ব্যাপী ‘বিহার জোড়ো’ যাত্রা শুরু করছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেড। মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি বিজরিত পশ্চিম চম্পারণ জেলার নারকাটিয়াগঞ্জ থেকে যাত্রার সূচনা করা হবে।
একমাসের বেশি সয়ম ধরে চলা এই যাত্রায় নীতীশ-সহ জেডিইউ-র শীর্ষ নেতৃত্ব দফায় দফায় অংশ নেবেন। যাত্রার সূচনা শুরু করবেন নীতীশ। এই যাত্রার পোশাকি নাম সম্প্রীতি ও সৌভাত্বের যাত্রা। নীতীশের দল জেডিইউ-র কথায়, কর্মসূচির আসল উদ্দেশ্যে ‘বিহার জোড়ো’। তাদের বক্তব্য, ভারতকে খণ্ড-বিখণ্ড করার যে কর্মসূচি নিয়ে বিজেপি এগচ্ছে, বিহারে তা রুখে দিতে নীতীশের এই কর্মসূচি।
তবে এই পদযাত্রায় কোনও দলের পতাকা থাকবে না। দেশের অখণ্ডতা, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী যে কোনও দল তাতে অংশ নিতে পারে। মনে করা হচ্ছে আরজেডি, কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই-সহ বিহারে মহাজোটের নেতা-কর্মীরা জায়গায় জায়গায় নীতীশের এই যাত্রায় অংশ নেবেন।
পদযাত্রায় থাকবে মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, সুভাষচন্দ্র বসু, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, বিআর আম্বেদকরদের ছবি। নেতাদের মধ্যে থাকবে শুধুই নীতীশের ছবি। পদযাত্রার একমাত্র স্লোগান হল, ‘ইতিহাসকে বাঁচাতে নীতীশের পাশে থাকুন।’ মিছিলের পুরোভাগে থাকবেন বিহার বিধান পরিষদের সদস্য এবং জেডিইউর গুরুত্বপূর্ণ নেতা খলিদ আনোয়ার। রাজ্যের ৩৮টি জেলার ২৭টি অতিক্রম করে যা ৬ সেপ্টেম্বর শেষ হবে ভাগলপুরে, বিহারের যে শহরটি ১৯৮৯-এর দাঙ্গায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল। দাঙ্গায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল পছমন্দা অর্থাৎ গরিব মুসলমানেরা।