২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জুলাই মাস পর্যন্ত জিএসটি প্রতারণা হয়েছিল ৫৬ হাজার ৮০৫ কোটি টাকার। সে তথ্য আগেই সংসদে পেশ করেছে মোদী সরকার। চলতি অধিবেশনে কেন্দ্র জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে দেশে পণ্য পরিষেবা কর প্রতারণার পরিমাণ ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। জালিয়াতি যে লাফিয়ে বাড়ছে, এটাই তার প্রমাণ। এই পাহাড় প্রমাণ প্রতারণার তথ্য সামনে রেখে এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে কড়া চিঠি লিখলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থদপ্তরের প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র। তাঁর দাবি, প্রতারণার এই অঙ্কটা আসলে হিমশৈলের চূড়া মাত্র। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যদি হিসেব কষা যায়, তাহলে জালিয়াতির পরিমাণ যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। অথচ এই জিএসটির জটিলতার কারণে সবথেকে বেশি বেকায়দায় পড়েছে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প। দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু সংস্থাই সমস্যা এড়াতে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে।
নির্মলাকে লেখা চিঠিতে রাজ্যসভায় পেশ করা তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন অমিতবাবু। সেখানে মোদী সরকার জানিয়েছে, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকার জিএসটি প্রতারণা হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথ্য পেশ করে বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লক্ষ ব্যবসা জিএসসি রেজিস্ট্রেশন নিয়েছে। মাত্র ০.৪২ শতাংশ ক্ষেত্রে এসংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে দেখেছে সরকার। তাতেই দেখা গিয়েছে, ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলির বাস্তবে কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। যদি ১ কোটি ৪০ লক্ষ ব্যবসার প্রতিটির তথ্য যাচাই করা যেত, তাহলে প্রতারণার হিসেব অঙ্কটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াত তা ধারণারও বাইরে।’ অমিত মিত্র লিখেছেন, গত ২ মাসে ৬৯ হাজার ৪২৬টি জিএসটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর যাচাই করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ৮৯৩টি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির কোনও অস্তিত্বই নেই। অর্থাৎ, সেগুলি খোলা হয়েছিল জালিয়াতির কারণে। শুধুমাত্র এক্ষেত্রে জিএসটি ফাঁকির পরিমাণ ১৯ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা।