বিজেপিশাসিত মণিপুরে গত কয়েক মাস ধরেই জ্বলছে জাতিদাঙ্গার আগুন। এখনও নেই কোনও সমাধানের আভাস। হুঁশ নেই মোদী সরকারের। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সে রাজ্যের বাসিন্দারা। আর এবার, ঘৃণ্যতম দৃশ্যের সাক্ষী রইল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। বুধবার সন্ধের পর মণিপুরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, দুই নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই ভিডিওর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি ‘এখন খবর’। আর এই ভিডিও দেখে এবার নিজের যন্ত্রণার কথা প্রকাশ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করেন তিনি। লেখেন, “হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর এলাকার সেই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নগ্ন অবস্থায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুই মহিলাকে। অভিযোগ, গণধর্ষণেরও শিকার হয়েছেন তাঁরা। যা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়েছে। টুইটার-সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্র কড়া নির্দেশ দিয়েছে, কোনওভাবেই যেন ওই ভিডিও নতুন করে শেয়ার না করা হয়। অভিযোগের আঙুল মেতেই সম্প্রদায়ের দিকে। বুধবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ, গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। পুলিশের দাবি, ভিডিওটি গত ৪ঠা মে-র। আর এই ভিডিও দেখেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা টুইট করেন, ”ভয়ংকর ভিডিও! দুই মহিলাকে নিয়ে উন্মত্ত জনতার এই অমানবিক আচরণ! এমন দৃশ্য দেখে বলার মতো শব্দ নেই। আমাদের উচিত, একজোট হয়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা। নির্যাতিতাদের বিচার পাইয়ে দেওয়া।” যেখান থেকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেই চূড়াচাঁদপুরে আজ গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। আশ্রয় শিবিরগুলি ঘুরে ঘুরে দেখেন ৫ সদস্য। সেখানে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন সকলে। এদিন মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন ডেরেক ও ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যা, দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুস্মিতা দেব। তাঁরা সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে বিশ্বস্ত সূত্র।