শ্রীলঙ্কার মাটিতে চলছে ইমার্জিং এশিয়া কাপ। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান এ-কে হারিয়ে দিল ভারত এ। আট উইকেটে ম্যাচ জিতে গ্রুপ শীর্ষে থেকে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন যশ ধুলরা। পাকিস্তানের ২০৫ রানের জবাবে ৮০ বল বাকি থাকতেই জয়ের রান তুলে নিলেন তাঁরা। চমৎকার শতরান করলেন সাই সুদর্শন। এই টুর্নামেন্টে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন তিনি। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ভারতের পেসার আর এস হাঙ্গারগেকর শুরু থেকেই উইকেট নিতে শুরু করেন। মাত্র ৯ রানে পাকিস্তানের ২ উইকেট চলে যায়। এর পরের কোনও জুটি সে ভাবে দাগ কাটতে পারছিল না। একের পর এক ব্যাটার ফিরছিলেন প্যাভিলিয়নে। পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ভাঙেন মানব সুথার। ৩ উইকেট নেন তিনি। ৯৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর পাকিস্তানের মুবাসির খান এবং কাসিম আক্রম কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাঁরা ৪৩ রানের জুটি গড়েন। না হলে আরও কম রানে শেষ হয়ে যেতে পারত পাকিস্তানের ইনিংস। ২৮ রান করে মুবাসির আউট হওয়ার পর কিছুটা লড়াই করেন কাসিম। তিনি ৪৮ রান করেন। নিশান্ত সিন্ধু নেন মুবাসিরের উইকেট। কাসিমকে ফেরান হাঙ্গারগেকর। নবম স্থানে ব্যাট করতে নেমে মেহরান মুমতাজ করেন ২৫ রান। তিনি অপরাজিত থাকেন। ২০৫ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস।
এরপর রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেন সুদর্শনেরা। সুদর্শন ১১০ বলে ১০৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১০টি চার এবং তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। ছক্কা মেরেই ম্যাচ জিতিয়েছেন সুদর্শন। অন্য ওপেনার অভিষেক শর্মা ২০ রান করে আউট হয়ে গেলেও তিন নম্বরে নেমে নিকিন জোশ ৫৩ রান করেন। যদিও আউট হয়ে যান তিনি। সুদর্শনের সঙ্গে ম্যাচ শেষ করেন যশ ধুল। ১৯ বলে ২১ রান করেন ভারতের যুব দলের অধিনায়ক। উল্লেখ্য, ভারত এবং পাকিস্তান দুই দল সেমিফাইনালের টিকিট আগেই পাকা করে ফেলেছিল। এই ম্যাচ জিতে গ্রুপ শীর্ষে থেকে শেষ চারে পৌঁছনোর সুযোগ ছিল তাদের। ভারত এ জেতায় তারাই গ্রুপ শীর্ষে রইল। সেমিফাইনালে ভারত এ খেলবে বাংলাদেশ এ দলের বিরুদ্ধে। পাকিস্তান এ খেলবে শ্রীলঙ্কা এ-র বিরুদ্ধে। দু’টি ম্যাচই হবে ২১শে জুলাই। সকাল ১০টা থেকে খেলবে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান। দুপুর ২টো থেকে ভারত-বাংলাদেশ। ফাইনাল ২৩শে জুলাই। কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে সবকটি ম্যাচ।