এক বছর হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন তিনি। আর তাই এবারের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চেই একপ্রকার নিজের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই রিপোর্ট কার্ড কোনও ছাপা অক্ষরে প্রকাশিত কার্ড নয়। অভিষেক এক বছর আগে যা বলেছিলেন, আর যা করে দেখাতে পেরেছেন, তার একটা হিসাবনিকেশ।
প্রসঙ্গত, গত বছর একুশের জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতির কথা বলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘তৃণমূল করে খাওয়ার জায়গা নয়। নেতা ধরে বা তাঁর ছাতা বয়ে পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়া যাবে না। দল ঠিকাদারদেরও টিকিট দেবে না। তৃণমূল করতে গেলে ঠিকাদারি ছেড়ে আসতে হবে।’
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মোট আসন ৭৩ হাজারের কিছু বেশি। এর মধ্যে কেউ ঠিকাদার রয়েছেন কিনা বা নেতা ধরে টিকিট পেয়েছেন কিনা স্পষ্ট নয়। তবে এটুকু দেখা গিয়েছে, গত বছর ২১ জুলাইয়ের পর থেকে পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছতে পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা শুরু করেছিল তৃণমূল। তার পর শেষবেলায় নবজোয়ার যাত্রা করে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করেছেন। যার ফলস্বরূপ জেলা পরিষদে জিতে ভোট ভাল ভাবেই উতরে গিয়েছে তৃণমূল।
পঞ্চায়েতে দলের এই সাফল্যের জন্য নবজোয়ার যাত্রার যে ভূমিকা রয়েছে গণনার দিনই বলেছিলেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর এই যাত্রার ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন। এবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা প্রশংসার এক প্রকার সাফল্য উদযাপন হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
কালীঘাট সূত্রে খবর, একুশে জুলাই নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতের প্রচারে বেরিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ভোটের পর একশ দিনের কাজ ও আবাস যোজনা খাতে বকেয়া আদায়ের দাবি নিয়ে তিনি দিল্লিতে গিয়ে ধর্ণা দেবেন। একুশ জুলাই সেই কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।