এখনও জাতিহিংসার আগুনে উত্তপ্ত মণিপুর। বিজেপিশাসিত এই রাজ্যে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। এখনও মেলেনি কোনও সুরাহার আভাস। মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছে মোদী সরকার। জাতিদাঙ্গায় বিধ্বস্ত মণিপুরে যেতে চেয়েও পারেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলেনি অনুমতি। কিন্তু উত্তর-পূর্বের রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেখানকার মানুষজনের পাশে থাকতে ফের যেতে চান তিনি। আজ, ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি মঞ্চ থেকে সেই ইচ্ছাই প্রকাশ করলেন তিনি। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী একা নন, বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী মণিপুরে যান, তেমনটাই চেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্মতলায় শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রস্তুতি দেখতে যান। প্রতি বছরই তিনি একুশের আগের দিন সন্ধ্যায় নিজে গিয়ে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তৃণমূল নেত্রী। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এবছর পঞ্চায়েত ভোটের সাফল্যও উদযাপিও হবে একুশের মঞ্চেই। রেকর্ড ভিড় হওয়ার আশা ঘাসফুল শিবির। তবে এসবের মাঝেও অশান্তি মণিপুরের দিকে বরাবর নজর রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
প্রসঙ্গত, সদ্যই বেঙ্গালুরুতে শেষ হয়েছে বিরোধী বৈঠক। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে বিরোধী জোটের নতুন নামকরণ হয়েছে – ইন্ডিয়া (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স)। মোট ২৬টি দল বিজেপি বিরোধিতায় একজোটে সরব। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ”মণিপুর যেতে চাই। চিঠি দিয়েছিলাম। আমায় যেতে দেবে না। আমি চাই, তবে ইন্ডিয়া জোট থেকে কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী যান। আমি কথা বলছি।” এর আগে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মণিপুরে নারী নির্যাতন নিয়ে ভাইরাল হওয়া ভিডিও টুইটে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। ঘটনার যথাযথ বিচারও দাবি করেন তিনি।