রাজ্যজুড়ে কখনও ভারী, কখনও মাঝারি, কখনও হালকা বৃষ্টি লেগেই রয়েছে। চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে নাগাড়ে বর্ষণ কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে অল্প হলেও বেড়েছে বৃষ্টি। যদিও সেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জেরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থেকে রেহাই মেলেনি। তার মধ্যেই হাওয়া অফিস জানাল, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার কারণেই আজ বুধবার থেকে আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত দুদিন ধরেই এমন বর্ষণ চলছে জেলায় জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২১শে জুলাই অর্থাৎ শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গ। বৃষ্টি হবে পশ্চিমের জেলাগুলিতেও।
পাশাপাশি, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি ভিজবে ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরও। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, পরিমাণ বাড়লেও আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বরং দিনভর দফায় দফায় চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে সঙ্গে। কলকাতা শহরে বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৮ থেকে ৯৪ শতাংশ। আপাতত তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তন হবে না বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির মাঝেও সব জেলাতেই বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আজ বুধবার মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পঙ, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলায়। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন আবহবিদরা।
