রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়েছে কয়েকদিন আগেই। তবুও নানান স্থানে এখনও অব্যাহত রয়েছে হিংসার আবহ। এবার তার শিকার হলেন আরও এক তৃণমূল কর্মী। সুইসাইড নোটে বিস্ফোরক অভিযোগ করে আত্মঘাতী হলেন তিনি। তাঁর নাম চন্দন সামন্ত। রামনগর বিধানসভার রামনগর এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হলদিয়া ২ অঞ্চলের কনিওরা দক্ষিণ বুথের তৃণমূল কর্মী ছিলেন চন্দন বাবু। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বুথে তৃণমূল হেরে যায়। তারপরই বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলে এহেন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ির লোক দেখতে পান, আত্মহত্যা করেছেন চন্দন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দন সামন্তর দেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট পড়েছিল। তাতে নির্মল সামন্ত বলে একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি এলাকার বিজেপি কর্মী হিসেবেই পরিচিত।
উক্ত সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, “আমি চন্দন সামন্ত। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী নির্মল সামন্ত (অপু)। পিতা প্রভাত সামন্ত।” তৃণমূলের তরফে হলদিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান শেখ রবীন মহম্মদ বলেন, “১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করতেন চন্দন সামন্ত। তৃণমূলের দখলেই ছিল এই এলাকা। কিন্তু এবার পঞ্চায়েতে হারে তৃণমূল। দিন দুয়েক আগেও চন্দন জানিয়েছিলেন, তাঁকে নানারকম ভাবে মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছিল। রবীনবাবুর আর্জি, যদি কেউ সত্যিই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়ে থাকেন, তাহলে যেন অবশ্যই আইনি পথে তাঁর কঠোরতম শাস্তি হয়। তৃণমূলের নব নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ জানাও এই দাবিতে সরব হয়েছেন।