ফের বড়সড় বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার থানায় ঢুকে পুলিশকে শাসানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু কুলতলি থানার পুলিশদের নয়, কেন্দ্র বাহিনীকেও ধমকানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার মগরাহাট ও কুলতলিতে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে ও কথা বলতে আসেন শুভেন্দু। কুলতলি ব্লকের কুন্দখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার সময় হঠাৎই তাঁর সামনে চলে আসেন সন্ধ্যারানি সর্দার নামে এক বিজেপি কর্মী। বিজেপি করার অপরাধে তাঁকে তৃণমূলের কর্মীরা মেরে হাত ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। শুভেন্দুকে তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। পরে শুভেন্দু ওই মহিলাকে নিজের গাড়িতে তুলে চলে আসেন কুলতলি থানায়।
এরপর কুলতলি থানায় তদন্তকারী অফিসারের ঘরে ঢুকে তাঁকে রীতিমতো ধমকানোর অভিযোগ ওঠে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। পরে ওই মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এদিন শুভেন্দু কুলতলির দেউলবাড়ি ও কুন্দখালি গোদাবর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যান। বিরোধী দলনেতা বলেন, মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় পুলিশ যদি অভিযোগ না নেয় তাহলে মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হবে। তফসিলি জাতি কমিশনের কাছে দায়ের করা হবে অভিযোগ। প্রয়োজনে অভিযোগ জানাতে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে আক্রান্ত মহিলাদের। এদিন শুভেন্দু মগরাহাটে এসে বিডিওদের ‘চোর’ বলেও অভিহিত করেন তিনি। যা নিয়েও প্রবল শোরগোল ওঠে রাজনৈতিক মহলে।