এবারের পঞ্চায়েত ভোট পর্বে শুরু থেকেই ‘প্রতিরোধের’ নামে তৃণমূলকে নিশানা করে হামলার ঘটনা ঘটেছে দিকে দিকে। হিংসার বলিও হয়েছেন শাসক দলের বহু নেতা-কর্মী। এবার যেমন সাতদিন পর ভোট গণনার দিন থেকে নিখোঁজ থাকা এক সক্রিয় তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হল জঙ্গল থেকে। পুলিশ সূত্রের খবর, দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ফলে মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।
সোমবার সকালে বুদবুদ থানার বাইপাসের ধারে একটি সরকারি অতিথিশালা পেছনের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় চাঁদু বাউরির (৪১) দেহ। তাঁর বাড়ি গলসি থানার পোতনা গ্রামে। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোট গণনার দিন বুদবুদে গিয়েছিলেন চাঁদু। সেখানে গলসি ১ ব্লকের ভোট গণনাকেন্দ্রে তাঁকে দেখা গিয়েছে। ওই দিন দুপুর বারোটা পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পায়নি পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে বুদবুদ থানায় মিসিং ডায়েরি করেন নিখোঁজের ছেলে ধর্মেশ্বর বাউরি।
তবে মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম। তৃণমূলের গলসি ১ ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কিন্তু কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা না জেনে অকারণে কাউকে দোষারোপ করব না। পুলিশ তদন্ত করছে।’