আগামী বছর দেশে লোকসভা নির্বাচন। আর সেদিকে তাকিয়েই বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীরা। গত ২৩ শে জুন পাটনায় বসেছিল বিরোধী জোটের হাইভোল্টেজ বৈঠক। এবারের বৈঠক বেঙ্গালুরুতে। সোমবার ছিল তাঁরই প্রস্তুতিসভা।
আজ মঙ্গলবার তাজ ওয়েস্ট ইন হোটেলে মেগা বৈঠক। ২০২৪-কে সামনে রেখে বিরোধী জোটের বড় ঘোষণা হবে। সকাল ১১টায় বৈঠক শুরু। দুটো পর্যন্ত চলার পর সাংবাদিক বৈঠক। সোমবারের প্রস্তুতি বৈঠকে সব দলের হাতে একটি কর্মসূচির খসড়া তুলে দেওয়া হয়। তার ভিত্তিতে আজ আলোচনা করে একটি অভিন্ন কর্মসূচি প্রাথমিকভাবে ঘোষণা হবে। এদিনও সব দল একমত হয়েছে, বিজেপিকে হারাতে গেলে একের বিরুদ্ধে এক চাই।
সবাই এসে গিয়েছেন। বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে সোনিয়ার উপস্থিতি। পাটনার চেয়ে দল আরও ভারী। সবাই নতুন জোট গঠনে একমত। ফলে বিলুপ্ত হতে চলেছে ইউপিএ। মনমোহন সিং সরকারের সময় ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ ফ্রন্ট বা ইউপিএর জন্ম হয়। বর্তমান পরিস্থিতির তাগিদে নতুন জোটের নতুন নাম ঘোষণা হতে পারে। ইন্ডিয়ান ইউনাইটেড ফ্রন্ট না কি ইউনাইটেড ইন্ডিয়া মোর্চা- কী নাম হবে মহাজোটের তা নিয়ে নেতারা ঘরোয়া কথা বলেছেন।
অন্যদিকে, গতকালই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে বিকেলে বেঙ্গালুরু পৌঁছন মমতা। তৃণমূলের তরফে এসেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। শরদ পাওয়ার ছাড়া পাটনা বৈঠকের সব নেতাই এসে গিয়েছেন। এই প্রথম কংগ্রেসের আহ্বানে ডাকা এত বড় বৈঠকে হাজির কেজরিওয়াল। সকালেই সাংবাদিক বৈঠক করে জোটের দ্বিতীয় সভার অভিমুখ নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কে বেণুগোপাল, জয়রাম রমেশরা।
তাঁদের মূল কথা, আজকের বৈঠকে যোগ দেবে ২৬ দল। পাটনার চেয়ে আরও ১০টি বেশি দল। দ্বিতীয় বৈঠক থেকে আগামী কর্মসূচি ঘোষণা হবে। সংসদ খুলছে। যৌথ লড়াই করবে সব কটি দল। বিরোধিতা হবে দিল্লির অধ্যাদেশের। দেশে সংবিধান বিপন্ন। নরেন্দ্র মোদি থাকলে দেশের বহুত্ববাদ ভেঙে পড়বে। এই বৈঠক গেম চেঞ্জার। প্রশ্ন ছিল জোটের নেতা কে হবেন? কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়ে দিল, “কেউ একজন নন, জোটে সবাই নেতা।”