সোনিয়া গান্ধীর পাশে বসে মল্লিকার্জুন খাড়গে এদিন ২৬টি বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের বৈঠকে পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিয়েছেন যে কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লালায়িত নয়। তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের আসল উদ্দেশ্য হল, বিজেপির অপশাসন খতম করা। তার জন্য যতটা পথ হাঁটতে হয় কংগ্রেস হাঁটবে।
কংগ্রেসের সভাপতির পদের দৌড় থেকে সরে এসেছে রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ে যাত্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন। কংগ্রেসের দাবি, রাহুল ইতিমধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ছাড়তে জানেন। সুতরাং এটা ভাবার কারণ নেই যে রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য কংগ্রেস জোট চাইছে।
এদিন মল্লিকার্জুন খাড়গে বৈঠকে বলেছেন, বিগ ব্রাদার আচরণ কংগ্রেস রাখতে চাইছে না। ভারতবর্ষের ইতিহাসে ১০ বছর জোট গড়ে স্থায়ী সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা একমাত্র কংগ্রেসেরই রয়েছে। জাতীয় এই দল সহনশীল ও পরমত সহিষ্ণু। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারে। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে তাই কেরলে বামেদের সঙ্গে লড়াই করার পরেও তাঁদের সমর্থন নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গড়তে পেরেছে। এবং দেশে বিকল্প সরকার গড়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেস বিনা গীত নেই।
অনেকের মতে, কংগ্রেসের এই অবস্থান কৌশলী। কারণ, লোকসভায় ৫৪২টি আসনের মধ্যে আড়াইশর বেশি আসনে বিজেপি ও কংগ্রেসের মুখোমুখি এবার সরাসরি লড়াই হবে। সেই লড়াইয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষ নেই। সুতরাং কংগ্রেস যদি একা দেড়শ বা তার বেশি আসনে জিততে পারে, তাহলে সংখ্যার তাকতে কংগ্রেসই জোটের ন্যাচারল লিডার হিসাবে উঠে আসবে। তাই এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আকচাআকচি করে লাভ নেই। বরং বর্তমান লক্ষ্য হল, দেশে মোদী বিরোধী বাতাবরণ তৈরি করা। যা কংগ্রেসের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাতে দেশের সব প্রান্তে শরিকদের সাহচর্য লাগবে। তাদের বন্ধু করতে হবে। তবেই বৃহত্তর লড়াইয়ে জেতা সম্ভব হবে।