প্রতিবছরের মতো এবারও একুশে জুলাই ধর্মতলায় হতে চলেছে তৃণমূলের ‘শহিদ সমাবেশ’। এই মুহূর্তে জেলায় জেলায় চলছে তারই প্রস্তুতি সভা। সোমবার সন্ধ্যায় খড়দা রবীন্দ্র ভবনে তেমনই এক সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সভা শেষের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। বিচারব্যবস্থা উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেও দাঁড়ান।
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা থেকে গণনা, একের পর এক মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে একাধিক বিধিনিষেধ চাপিয়েছে আদালত। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শোভনদেব বলেন, ‘কোর্টের কিন্তু নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় উপর কিছু বলার নেই। নির্বাচন বাতিল করার কোনও ক্ষমতা আদালতের নেই। যত বড়ই জজ হোক বা প্রধানমন্ত্রী বা রাজ্যপাল হোক না কেন, তিনি গণতন্ত্রকে ভাঙতে পারে না। সংবিধান মানতে হবে।’ প্রসঙ্গত, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখে বেরিয়ে বিচারব্যবস্থার একাংশকে সম্প্রতি তীব্র নিশানা করেন অভিষেক। কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতির নাম উল্লেখ করে তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। সোমবার শোভনদেবকেও কার্যত বিচারব্যবস্থার একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল।
এর পাশাপাশি অভিষেকের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও বিচারপতিকে নিয়ে নয়, রায় নিয়ে কথা বলেছেন। একজনের ক্ষেত্রে বারবার এমন হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন। একজন যদি ডাকাতি বা খুন করেন, তাহলে কি তার নিরাপত্তা থাকবে? এটা হতে পারে না। অভিষেক সেটাই বলতে চেয়েছেন। উনি আদালতকে কিছু বলেননি।’ বিচারপতিদের উদ্দেশে শোভনদেব আরও বলেন, ‘তাঁরা যে চেয়ারে বসে রয়েছেন, সেটা সমালোচনার জায়গা নয়। একতরফা একের পর এক রায় হয়ে যাচ্ছে, সেটা ভাবতে হচ্ছে। এটা ভাবা দরকার আছে। শুভেন্দু নিজে মুখে বলছেন ৩৫৫ কি করে আদায় করতে হয় জানি। তিনি এই সব গণ্ডগোলের মূল মাথা। পরিকল্পনা মাফিক এইসব করেছেন। অথচ তিনি রক্ষাকবচ পেয়ে যাচ্ছেন।’