নয়ডার বাসিন্দা শচীনের প্রেমে পড়ে চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন সীমা হায়দার। ভালবাসার মানুষটাকে বিয়ে করবেন বলে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি। সেই সীমা নাকি পাকিস্তানি গুপ্তচর, পাক সেনার সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর, এমনই দাবি করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসটিএফ! কারণ, অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেআইনি নথিও। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ এটিএস পাকিস্তানের বাসিন্দা সীমাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গোপন ডেরায় রেখে জেরা করছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে সীমার কোনও যোগ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে জেরা করা হতে পারে সীমাকে।
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকেই ‘নিখোঁজ’ হয়ে গিয়েছিলেন সীমা এবং তাঁর বর্তমান স্বামী নয়ডার রবুপুরার সচিন মীণা। কিন্তু পরে জানা যায়, ‘নিখোঁজ’ নন, সীমা এবং সচিনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশে এটিএস। রাত ১২টা পর্যন্ত জেরা করার পর রবুপুরার বাড়িতে ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে আবার তাঁদের জেরার জন্য নিয়ে যায় এটিএস। পুলিশ সূত্রে খবর, সীমা সত্যি কথা বলছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য পলিগ্রাফ পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত সীমাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁর কাকা পাকিস্তান সেনার সুবেদার ছিলেন। ভাই পাক সেনায় কর্মরত। ফলে ‘চরবৃত্তির’ প্রসঙ্গ আরও জোরালো হতে শুরু করেছে। সীমার পাসপোর্ট, মোবাইল ফোনের তথ্য, এ ছাড়াও হাই কমিশন দফতরে সীমার পরিচয়পত্র পাঠিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।