ভোটপর্ব মিটলেও রাজ্যজুড়ে অব্যাহত বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য। একাধিক জায়গায় চলছে হামলা। এবার পঞ্চায়েতে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর ভাইকে বেধড়ক মারধোরের অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে। নির্বাচন শেষ হলেও অশান্তি পিছু ছাড়ছে না ব্যারাকপুরের মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২ নম্বর সংসদের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী প্রসেনজিৎ পাত্রের ভাই কৃশানু পাত্রকে শনিবার রাতে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মোহনপুরের জাফরপুরে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত কৃশানু পাত্র পেশায় টোটো চালক। প্রতিদিনের মতো এদিনও তিনি টোটো নিয়ে রাস্তায় বেরোন। পলতা শান্তিনগরের কাছে চার যুবক তার টোটো দাঁড় করায়। ওই টোটোতে চেপে জাফরপুরে যাওয়ার কথা বলে। যাত্রী ভেবে চার জনকে টোটোতে তোলেন কৃশানু। অভিযোগ, নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে জাফরপুর পঞ্চানন পাঠাগারের কাছে একটি অন্ধকার জায়গায় টোটো থামাতে বলে ওই চার যুবক। টোটো থামাতেই ওই চারজন প্রথমে তাকে চড় থাপ্পর ও বন্দুকের বাট দিয়ে মারতে থাকে।
এরপর রাস্তায় পড়ে থাকা বাঁশ, লাঠি নিয়ে তাকে ব্যাপক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন কৃশানু। পালিয়ে যায় হামলাকারী যুবকের দল। এরপর স্থানীয়রা তড়িঘড়ি কৃশানুকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুর ডাক্তার বি.এন.বসু. মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যারাকপুরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন কৃশানু। তার দাদা জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রসেনজিৎ পাত্র পুরো ঘটনার জন্য অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ওই ২২ নম্বর সংসদের বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় পোড়েলের দিকে। তিনি অভিযোগ করেন, সঞ্জয় পোড়েল তার দলবল নিয়ে এসে তার ভাইকে বাঁশ লাঠি এবং বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করে। বিষয়টা তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন এবং মোহনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যেই মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।