বাংলার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ফের তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শীঘ্রই প্রথম ই-হাসপাতাল পেতে চলেছে রাজ্য। কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে গড়ে ওঠা সুপার স্পেশালিটি ব্লকটিকেই এই ই-হাসপাতাল হিসাবে গড়ে তুলছে রাজ্য সরকার। এই হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোর বিভাগের রোগ বা রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট সবই মিলবে অনলাইনের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে হাতে লেখা প্রেসক্রিপশন ব্যবস্থা তুলে দিয়ে ই-প্রেসক্রিপশন চালুর নির্দেশ জারি হয়েছে। সেই মতো জেলাগুলির কিছু কিছু প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুরুও হয়ে গিয়েছে অনলাইন প্রেসক্রিপশন ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে রাজ্যের মেডিকেল কলেজগুলির মধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালের হেপাটোলজি সহ কিছু কিছু বিভাগে আউটডোর রোগীদের জন্য অনলাইন প্রেসক্রিপশন চালু হয়েছে। কিন্তু কোনও মেডিকেল কলেজই পুরোপুরি অনলাইন প্রেসক্রিপশন বা রিপোর্ট চালু করতে পারেনি। সেই হিসাবে কলকাতা মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ব্লকই রাজ্যের প্রথম ই-হাসপাতাল হতে চলেছে।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চত্বরে গড়ে ওঠা ১০ তলা সুপার স্পেশালিটি ভবনের সবক’টি বিভাগের ইনডোর ও আউটডোর চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনলাইন প্রেসক্রিপশন ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে রক্তপরীক্ষা রিপোর্ট অনলাইনে চালু করা। সেটি হলেই রাজ্যের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলির মধ্যে প্রথম ই-হাসপাতালের মর্যাদা পাবে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি ব্লকটি। এই ভবনের নবম এবং দশম তলায় রয়েছে প্রাইভেট কেবিন। তারপর ধাপে ধাপে নীচের তলাগুলিতে রয়েছে ইউরোলজি, গ্যাস্ট্রো মেডিসিন, নেফ্রোলজি, গেট্রিয়াটিক মেডিসিন বিভাগ। আরও নীচে দু’টি তলাজুড়ে রয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। একতলায় আছে সবক’টি বিভাগের আউটডোর। সেখানে আগেকার বিভাগগুলি ছাড়াও থাকছে ইনডোর ফিজিওথেরাপি। ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দিনে ছ’তলায় কার্ডিওলজি বিভাগ ও ক্যাথ ল্যাব নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া একতলায় চালু হবে রক্তদানের ব্যবস্থা ও ব্লাড কালেকশন সেন্টার।