সোমবার কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে বসেছে বিরোধী মহাজোটের দ্বিতীয় বৈঠক। প্রসঙ্গত, গত ২৩শে জুন পাটনায় বসেছিল প্রথম দফার বৈঠক। আগামী চব্বিশের মহারণের ব্লুপ্রিন্ট চূড়ান্ত করাই বিরোধীদের প্রধান লক্ষ্য। আসন রফা তথা সমঝোতা, চূড়ান্ত হলেই জোটের ভিত আরও মজবুত হবে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তাঁরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। ২৪টি বিরোধী দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা মহাবৈঠকের আগে বিরোধীদের বার্তা, জোট অটুট, ইউনাইটেড উই স্ট্যান্ড। বেঙ্গালুরু শহর ফ্লেক্স-হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভ্যর্থনা জানিয়েও রয়েছে ফ্লেক্স। তৃণমূল নেত্রীর ছবির নীচে লেখা রয়েছে মহাজোটের সার কথা। কংগ্রেস হাইকমান্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোটে রাখতে মরিয়া। কোনও মতেই তৃণমূলকে জোট বিমুখ হতে দিতে চাইছে না তাঁরা। অধীর চৌধুরী বাংলায় তৃণমূল বিরোধী প্রচার চালালেও, সোনিয়া তার সমাপ্তি চাইছেন। মমতাকে নৈশভোজেও পাশে চাইছেন সোনিয়া। মঙ্গলবার তাজ ওয়েস্ট এন্ডের আনুষ্ঠানিক মহাজোটের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামীকাল সকাল ১১টায় আরম্ভ হবে মূল বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো অটুট রাখা, নির্বাচিত সরকারের উপর কেন্দ্র নিযুক্ত রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তার প্রতিবাদ, ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের ভাঙানোর মতো ঘটনা ঠেকানোর মতো পরিকল্পনা থাকছে বৈঠকের অভিন্ন কর্মসূচিতে। কোথায় কোথায় যৌথ সভা-সমাবেশ হবে, সেই তালিকাও তৈরি হবে। জানা যাচ্ছে, একটি কোর গ্রুপ তৈরি করা হবে। তারা প্রতি মাসে একবার করে বৈঠকে বসবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রে নিঃস্বার্থ ও ঐক্যবদ্ধভাবে পরিবর্তনের বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর লক্ষ্য, লড়াই হোক দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে। জোটের শরিকরাও এই নীতিতে আস্থা রাখছেন।স্বাভাবিকভাবেই তা মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে পদ্মশিবিরের।