গত শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে তৃণমূল বুথ সভাপতি নান্টু গাজির হত্যাকাণ্ড ঘিরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হল রমজান গাজি, সায়েম গাজি ও রশিদ জমাদার। শনিবার সন্ধেয় তাদের আটক করে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বয়ানে অসংগতি থাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের রবিবার পেশ করা হবে আলিপুর আদালতে।হনিহত নান্টু গাজি ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪২ নম্বর গাজিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি। বছর বিয়াল্লিশের নান্টু শুক্রবার বিকেলে সাতমুখী বাজারে গিয়েছিলেন। রাত নটার সময় বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, তেঁতুলতলা এলাকায় ১০-১২ জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে।
এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপায় তারা। সাহিনা গাজী নামে এক মহিলাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে আহতদের রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। রাত বাড়লেও বাড়ি না ফেরায় ওই বুথ সভাপতির পরিবারের লোকজন তাঁর খোঁজ শুরু করেন। রাত দুটো নাগাদ তেঁতুলতলা গাজিপাড়া এলাকায় রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ওই দুই আহতকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূলের ওই বুথ সভাপতির হাত, পিঠে, গলা-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গভীর ক্ষত ছিল। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। সেখানে ভর্তির পরেও বাঁচানো যায়নি নান্টুকে।