তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তা অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটের কারণে কোনো স্কুল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হলে তার ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য শিক্ষা দফতর। গত সপ্তাহে রাজ্য জুড়ে চলেছে পঞ্চায়েত ভোটের কাজকর্ম। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে শুরু করে ভোটকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিভিন্ন গ্রামীণ স্কুলে। সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ভোটের আয়োজনে যদি কোনও স্কুলের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে, তা হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে শিক্ষা দফতরের তরফে। ভোট সংক্রান্ত এক রায়ে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে, ভোটের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলিকে শিক্ষার স্বার্থেই মেরামত করে দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই দেওয়া হবে এই সাহায্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোটের কাজ পরিচালনার পাশাপাশি কোনও নির্বাচনী সংঘর্ষের কারণে স্কুলে ভাঙচুর বা ভোট পরিচালনার কারণে শিক্ষাপ্রাঙ্গণের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে, তাও পূরণ করে দেবে রাজ্য। বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে জেলা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলের হিসাব চেয়েছে শিক্ষা দফতর। একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে স্কুলের নাম, মেরামতির জন্য সম্ভাব্য খরচের পরিমাণ এবং অন্যান্য তথ্য প্রমাণ-সহ সেই রিপোর্ট বিদ্যালয়ের পরিদর্শকরা পাঠাবেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (ডিআই) কাছে। শুক্রবার অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সেই তথ্য অ্যাডভোকেট জেনারেল জমা দেবেন স্বরাষ্ট্র দফতরে। সেই তথ্য যাচাই করে স্বরাষ্ট্র দফতর দেবে শিক্ষা দফতরকে। তার পরেই বিবেচনা করে স্কুলগুলিকে মেরামতের অর্থ দেওয়ার কাজ শুরু করবে বিকাশ ভবন। আগামী সপ্তাহেই স্কুলকে আর্থিক বরাদ্দ পাঠানোর কাজ শুরু হতে পারে, এমনই মনে করছে শিক্ষাদফতরের আধিকারিকরা।